১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার
৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শবে কদরের রাতে যেসব আমল করা উপকারী

শেয়ার করুন

শবে কদরের রাত ইসলামের একটি পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ রাত, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলে বর্ণনা করা হয়েছে। এই রাতে আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত এবং নাজাতের সুযোগ থাকে। শবে কদরের রাতে কিছু বিশেষ আমল করা অনেক উপকারী এবং সওয়াবের কারণ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু আমল হলো:

  1. নফল সালাত (নফল নামাজ): শবে কদরের রাতে অতিরিক্ত নফল নামাজ পড়া অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। অনেক হাদিসে বলা হয়েছে, এই রাতে নামাজ পড়লে তা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে বেশি সওয়াব এনে দেয়।

  2. কুরআন তিলাওয়াত: কুরআন তিলাওয়াত শবে কদরের রাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আমল। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, শবে কদরের রাতেই কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, তাই এই রাতে কুরআন পাঠ করা বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ।

  3. দু’আ ও মোনাজাত: এই রাতে আল্লাহ তাআলা নিজের রহমত ও ক্ষমা প্রর্দান করেন। এই রাতে দু’আ করা, মাফ চাওয়া এবং আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার করা অত্যন্ত কার্যকরী। হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি শবে কদরের রাতে ঈমান ও ইখলাসের সঙ্গে প্রার্থনা করবে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হবে।”

  4. জিকির: শবে কদরের রাতে আল্লাহর নাম স্মরণ করা (জিকির)ও একটি বড় আমল। আল্লাহর জিকিরে হৃদয় শান্তি পায় এবং তাঁর প্রতি ভালবাসা বৃদ্ধি পায়।

  5. সদকা ও দান: এই রাতে দান-খয়রাত করা এবং গরীব-মিসকিনদের সাহায্য করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয় আমল।

  6. তাহাজ্জুদ নামাজ: রাতের শেষ ভাগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া শবে কদরের রাতের একটি বিশেষ আমল। এই নামাজটি অত্যন্ত উত্তম এবং তাতে সওয়াবের পরিমাণও অনেক বেশি।

  7. শবে কদরের রাতের বিশেষ দু’আ: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শবে কদরের রাতে একটি বিশেষ দু’আ পড়তেন, যা হলো: “اللهم إنك عفو تحب العفو فاعف عني” (অল্লাহুম্মা ইননাক আফুউন তুহিব্বুল আফও ফাআফু আনী) অর্থাৎ, “হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, আপনি ক্ষমা করাকে পছন্দ করেন, সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দিন।”

এই আমলগুলোর মাধ্যমে শবে কদরের রাতকে আরও বেশি ফলপ্রসূ এবং উপকারী করা যেতে পারে।

শেয়ার করুন