১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার
২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাবির নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা: আটক ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ এবং আল্টিমেটাম

শেয়ার করুন

রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীকে মারধর এবং হেনস্তার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে অবস্থান নিয়ে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন

এসময় তারা নানান স্লোগানে মাতেন। স্লোগানগুলো ছিল, “জ্বালোরে জ্বালো আগুন জ্বালো, পারভার্টের মুখেতে আগুন জ্বালো একসাথে”, “২৪-এর বাংলায় পারভার্ট তোর ঠাই নাই”, “তবে হাতে অস্ত্র কেনো আসামী যদি নাই-ই ধরো”, “কাল তোমার মা হলে আসামী ধরবা কিসের বলে”, “কাল তোমার বোন হলে আসামী ধরবা কিসের বলে”, “২৪-এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার”।

এবিষয়ে জানতে চাইলে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, হেনস্তাকারীর রিলেটিভস বা ফ্যামিলি মেম্বারস যে যেখানে আছেন তাদের বাড়িগুলোতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। হেনস্তাকারী বর্তমানে গা-ঢাকা দিয়ে আছে কিন্তু সাংবাদিকরা যদি তার পর্যন্ত পৌছাতে পারে তাহলে পুলিশ কেন তার পর্যন্ত পৌছাতে পারছেনা এবং তাকে গ্রেফতার করতে পারছেনা এই প্রশ্নটা আমি পুলিশ কমিশনকে করতে চাই। শিক্ষার্থীরা ২ ঘন্টা সময় বেধে দিয়েছে ওই সময়ের বাইরে আমি আর নেগোসিয়েশন পর্যায়ে যেতে চাই না। হেনস্তাকারীকে পুলিশের গ্রেফতার করে থানায় এনে তারপর আমাদের জানাতে হবে।

ঘটনার ভুক্তভোগী বলেন, কালকে আমরা কাজলা গেইটের অপজিটে ইফতার কিনছিলাম। এসময় রাস্তা পারাপারের সময় একজন আমাদের ইভটিজিং করে। একপর্যায়ে আমরা ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করলে যে ইভটিজিং করেছে সে নয় বরং তন্ময় এগিয়ে আসে এবং আমার ফ্রেন্ডকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর আমি তার প্রতিবাদ করতে গেলে সে আমার চুলের মুঠি ধরে মারধর করে এবং আমার চশমা ভেঙ্গে ফেলে। তারপর তন্ময় রিক্সা নিয়ে পালানোর সময় তাকে আটকাতে গেলে সে কনুই দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে। এরপর তার রিক্সার পিছে আমি ধাওয়া করলে ১০-১৫ হাত সামনে যেয়ে রিক্সার থেকে নেমে এসে সে আমার যে ফ্রেন্ড লাইভ করছিলো, তার উপর আঘাত করে এবং তাকে আহত করে। আমরা এর কঠোর বিচার চাই এবং ২ ঘন্টার মধ্যে তাকে গ্রেফতার দেখতে চাই।

মতিহার থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বলেন, আসামি প্রযুক্তিগত বিষয়ে অনেক চালাক হওয়ায় আমরা দ্রুত তাকে ট্রেস করতে পারছি না। আমরা ৪০ মিনিট সময়ের মধ্যে তাকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করবো বলে।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ইংরেজি বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। তারা হেনস্তার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে একযোগে স্লোগান দেন এবং ২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করার আল্টিমেটাম দেন।

উল্লেখ্য, ঘটনা চলাকালীন ফেসবুকে লাইভ করেন ইংরেজি বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ফারহান মাহমুদ। ফারহানের লাইভ ভিডিও এর সূত্র ধরে নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করা ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করেছে শিক্ষার্থীরা।

শেয়ার করুন