১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার
৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুয়েটে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

শেয়ার করুন

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ বিকেল পর্যন্ত চলে। এ ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন, যাদেরকে কুয়েটের অ্যাম্বুলেন্সে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বর্তমানে সংঘর্ষ থামলেও কুয়েট এবং আশপাশের এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে, এবং বিজিবি দুটি প্লাটুন পাঠিয়েছে।

এদিকে, কুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের হামলার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ঘোষণা করেছে।

কুয়েটের সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ রয়েছে। তবে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রদল ক্যাম্পাসে লিফলেট বিতরণ করায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা ‘ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো প্রদক্ষিণ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, যা পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার আকার নেয়। কুয়েট পকেট গেট থেকে বহিরাগতরা ছাত্রদলের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে যোগ দেয়।

এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ছাত্রদল ক্যাম্পাসে তাদের রাজনীতি বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে।

খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক দাবি করেছেন, ছাত্রশিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাতে গেলে ছাত্রদল তাদের বাঁধা দেয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।

এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রশিবিরের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে তারা, এবং ছাত্রদল ও বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে।

 

শেয়ার করুন