১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার
১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিচারপতি আব্দুর রউফ ছিলেন বাংলাদেশের উজ্জ্বল নক্ষত্র

শেয়ার করুন

বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুর রউফের ইন্তেকাল: গুণীজনের চলে যাওয়ায় শূন্যতা তৈরি হয়েছে

বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও বাংলাদেশ হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুর রউফ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তার মতো গুণীজনের চলে যাওয়ায় দেশ একজন প্রজ্ঞাবান বিচারপতি ও ইসলামী চিন্তাবিদের শূন্যতা অনুভব করবে।

মৃত্যু ও জানাজা

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজধানীর মগবাজারের ইনসাফ বারাকা কিডনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন এবং প্রায় দুই মাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

শোক প্রকাশ

বিচারপতি আব্দুর রউফের ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন,

> “বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা ও গণতন্ত্রের বিকাশে তার অবদান অপরিসীম। তিনি জাতীয় শিশুকিশোর সংগঠন ফুলকুঁড়ি আসরের দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি, তিনি বিভিন্ন ধর্ম ও মতাদর্শের মানুষকে নিয়ে ইন্টারফেইথ আলোচনার ময়দানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তার মৃত্যু নিঃসন্দেহে দেশের জন্য এক বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি করেছে।”

 

তিনি আরও বলেন,

> “আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন এবং তার পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের এই শোকে ধৈর্য ধারণের তাওফিক দিন। আমিন!”

 

বিচারপতি আব্দুর রউফের অবদান

বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা ও গণতন্ত্রের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

তিনি জাতীয় শিশুকিশোর সংগঠন ফুলকুঁড়ি আসরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন।

বিভিন্ন ধর্ম ও মতাদর্শের মানুষের মধ্যে ইন্টারফেইথ সংলাপে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।

তার ইন্তেকালে বাংলাদেশ এক প্রজ্ঞাবান বিচারক ও ইসলামী চিন্তাবিদকে হারালো। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন। আমিন!

 

শেয়ার করুন