
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: যানবাহন চলাচলের নীতিমালা ও বিধিনিষেধ
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে নিরাপদ ও শৃঙ্খল যান চলাচল নিশ্চিত করতে নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে।
১. অপরাধের কারণে নিষেধাজ্ঞা
যদি কোনো গাড়ির বিরুদ্ধে তিনবার মামলা হয়, সেই গাড়ি আর কখনো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে পারবে না।
অপরাধী গাড়ির তালিকা পুলিশ ও প্রতিটি টোল প্লাজায় সরবরাহ করা হবে।
২. গতি সংক্রান্ত বিধিনিষেধ
যানবাহনের গতি নির্ধারিত সীমার মধ্যে থাকতে হবে।
ভিডিও নজরদারির মাধ্যমে গতিসীমা রেকর্ড করা হবে।
নির্ধারিত গতিসীমা অতিক্রম করলে স্পিড ক্যামেরার মাধ্যমে ভিডিও মামলা করা হবে।
তিনবার গতি সীমা লঙ্ঘন করলে ওই গাড়ি নিষিদ্ধ হবে।
3. লেন পরিবর্তন ও পার্কিং সংক্রান্ত নিয়ম
সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া লেন পরিবর্তন করা যাবে না।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি থামানো বা পার্কিং করা সম্পূর্ণ নিষেধ।
জরুরি প্রয়োজনে নির্ধারিত জরুরি লেনে যেতে হবে এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করতে হবে।
4. গাড়ির অবস্থা ও পরিবেশ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ
অতিরিক্ত কালো ধোঁয়া নির্গত করা যানবাহন নিষিদ্ধ।
যাত্রী দাঁড়িয়ে যাতায়াত করে এমন খোলা যানবাহন এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করতে পারবে না।
অনুপযুক্তভাবে সুরক্ষিত পণ্যবাহী যান নিষিদ্ধ।
5. যাত্রী ওঠানো-নামানো
এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রী নামানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
কোনো যানবাহন যাত্রী নামালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
6. সুরক্ষা ও দায়িত্বশীলতার নীতি
যানবাহনের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
গাড়ি থেকে কোনো কিছু (যেমন টিস্যু পেপার, টোল টিকেট) বাইরে ফেলা যাবে না।
মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি চালাতে পারবেন না।
গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
7. নিষিদ্ধ যানবাহন ও কার্যক্রম
অ্যালকোহল, ড্রাগ বা অন্য কোনো নেশাদ্রব্য গ্রহণ করা কঠোরভাবে নিষেধ।
নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ভারী ও ধীরগতির যানবাহনের প্রবেশ নিষিদ্ধ।
দুই বা তিন চাকার যানবাহন এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করতে পারবে না।
দড়ি বা অনুপযুক্ত উপায়ে অন্য যানবাহনকে টেনে নেওয়া যাবে না।
খোলা ট্রাক বা পিকআপে মানুষ থাকলে সেটি টোল লেনে প্রবেশ করতে পারবে না।
8. টোল ও ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত নিয়ম
টোল প্লাজা, টোল বুথ, লেন বা অবকাঠামোর ক্ষতি হলে যানবাহন মালিককে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
ক্ষতিপূরণ না দিলে সংশ্লিষ্ট যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা হবে।
9. নিরাপত্তা ব্যবস্থা
এক্সপ্রেসওয়েতে ২৪ ঘণ্টা টহল অফিসার ও নিরাপত্তা কর্মীরা নিয়োজিত থাকবে।
যেকোনো সমস্যায় দ্রুত নিরাপত্তা কর্মীদের সহযোগিতা নিতে হবে।
এই নীতিমালাগুলো কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে, যাতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে একটি নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল যানবাহন চলাচলের পথ হিসেবে গড়ে ওঠে।