১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পায়ে হেঁটে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ভ্রমণ তরুণীর

শেয়ার করুন

পায়ে হেঁটে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ভ্রমণ তরুণীর

টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত পায়ে হেঁটে ১০০১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেন ২৫ বছর বয়সী তাহুরা সুলতানা। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তিনি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্টে এসে তার যাত্রা সম্পন্ন করেন। এ বিষয়টি তিনি নিজেই ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন।

তাহুরা সুলতানা গত বছরের ২৯ নভেম্বর সকাল ৬টায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের জিরো পয়েন্ট থেকে যাত্রা শুরু করেন এবং টানা ৫১ দিন পায়ে হেঁটে তেঁতুলিয়ায় পৌঁছান। একা যাত্রা শুরু করলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে অনেক পরিচিত-অপরিচিত মানুষ তার পাশে ছিলেন এবং বিভিন্ন স্থানে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন।

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের রশিদ আহমেদ ও তৈয়বা খাতুন দম্পতির মেয়ে তাহুরা চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার ছোট। চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন তিনি।

কেন এই দীর্ঘ পথ হাঁটার সিদ্ধান্ত?

তাহুরা সুলতানা জানান, ছোটবেলা থেকেই ভ্রমণের প্রতি তার বিশেষ আগ্রহ ছিল। চ্যালেঞ্জিং কিছু করতে ভালো লাগে বলেই তিনি এই দীর্ঘ পথ হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন, “সুস্বাস্থ্যের জন্য হাঁটা অত্যন্ত জরুরি। আমার এই পদযাত্রার মাধ্যমে মানুষকে হাঁটার প্রতি উৎসাহিত করতে চেয়েছি। পাশাপাশি, বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্যও আমি এই যাত্রা করেছি।”

অর্থসংস্থান ও প্রস্তুতি

এই দীর্ঘ ভ্রমণের খরচ তিনি নিজেই বহন করেছেন। তিনি Zoom Wild নামে একটি ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে যুক্ত, যেখানে ট্রাভেলিং সংক্রান্ত পণ্য বিক্রি করেন। এই ব্যবসা থেকে উপার্জিত অর্থ থেকেই তিনি তার যাত্রার খরচ চালিয়েছেন।

বাংলাবান্ধায় পৌঁছানোর অভিজ্ঞতা

বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্টে পৌঁছে তাহুরা বলেন, “১ হাজার কিলোমিটার হাঁটার মাইলফলক শেষ হলো! আমি বিজিবির প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। কারণ আমি একটু দেরি করে পৌঁছানোর পরও আমাকে বাংলাবান্ধায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এটা আমার জন্য অনেক বড় সহযোগিতা।”

কৃতজ্ঞতা ও অনুভূতি

এই দীর্ঘ যাত্রায় যারা তাকে সহায়তা করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাহুরা বলেন, “এ যাত্রায় যারা পাশে ছিলেন, সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও ভালোবাসা। আমার এই স্বপ্নপূরণ করতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত।”

 

শেয়ার করুন