
নিয়োগ বাতিলের রায়ের প্রতিবাদে শিক্ষকদের বিক্ষোভ ও দাবি
ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট বাতিল করেছেন। এ রায়ের প্রতিবাদে শিক্ষকদের বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
বিক্ষোভ ও পুলিশের বাধা
শিক্ষকরা হাইকোর্টের রায় বাতিল এবং যোগদানের তারিখ ঘোষণার দাবিতে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিতে চেয়েছিলেন। তবে পুলিশ তাদের মিন্টো রোডে আটকে দেয়। পরে তারা সেখানেই বসে পড়েন। কিছুক্ষণ পর পুলিশ জলকামান নিয়ে তাদের সরিয়ে দেয় এবং শাহবাগ হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের দিকে নিয়ে যায়।
বিক্ষোভরত শিক্ষকরা জানান, তাদের নিয়োগপ্রক্রিয়ার সব ধাপ সম্পন্ন হয়েছে এবং কেবল যোগদানের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু নিয়োগপত্র প্রদান করার আগেই হাইকোর্টের রায়ে তাদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে, যা তারা মেনে নিতে পারছেন না।
হাইকোর্টের রায়
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রায়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে ৬,৫৩১ জন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকের নিয়োগপত্র বাতিল করেন। আদালত মেধার ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগের নির্দেশ দেন।
এর আগে, গত ১৯ নভেম্বর কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে নিয়োগ দেওয়ায় হাইকোর্ট নিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছিলেন এবং রুল জারি করেছিলেন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই নিয়োগপ্রক্রিয়া নিয়ে একাধিকবার আদালতের স্থগিতাদেশ ও আপিল বিভাগের হস্তক্ষেপ দেখা গেছে। আদালত লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছিলেন।
শিক্ষকরা এখন রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দ্রুত যোগদানের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।