
হৃদয় হাওলাদার ও রাসেল হাওলাদার ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের ২২ বছর বয়সী দুই তরুণ। দুই মাস আগে তারা দালাল চক্রের মাধ্যমে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা হয়। প্রতিদিনই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হত, তবে ২৪ জানুয়ারি থেকে মুঠোফোনে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
হৃদয় কুমারখালি গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে এবং রাসেল মজিবর হাওলাদারের ছেলে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের মৃত্যুর ছবি দেখতে পান অভিভাবকরা। এরপর থেকে দুই বাড়িতে শোকের মাতম চলছে এবং স্থানীয় শত শত মানুষ দুই বাড়িতে ভিড় করছেন।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, “আমার ছেলেকে সাগরের তীরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, দালাল চক্র আমাদের ছবি পাঠিয়েছে। ছেলেকে ইতালি পাঠানোর জন্য দালালদের ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম।”
রাসেলের বাবা মজিবর হাওলাদার জানান, “দুই মাস আগে দালালদের টাকা দিয়েছিলাম। গত এক মাস তারা লিবিয়ায় ছিল। ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় দালাল চক্র তাদের ইতালীগামী ট্রলারে উঠানোর কথা জানায়। এরপর এক সপ্তাহ পার হলেও ছেলের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি। ২/৩ দিন ধরে দালাল চক্র আমাদের বিভিন্ন তথ্য দেয়, কখনো বলে তারা হাসপাতালে, কখনো বলে পুলিশ তাদের ধরে ফেলেছে।”
ঘারুয়া ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জলিল মাতুব্বর বলেন, “আমি ওই দুই তরুণের মৃত্যুর খবর শুনেছি।”
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, “এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”