
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও ৪২ ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, যার ফলে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৭ হাজার ৫০০ জনে পৌঁছেছে।
দীর্ঘ ১৫ মাসেরও বেশি সময় পর চলতি মাসে ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হলেও এর পরও ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে একের পর এক লাশ উদ্ধার হচ্ছে, ফলে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে।
ফিলিস্তিনি চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে আরও ৪২ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৪৬০ জনে পৌঁছেছে, যা বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জন আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, ফলে আহতের মোট সংখ্যা ১ লাখ ১১ হাজার ৫৮০ জনে পৌঁছেছে। তবে অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে বা রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
গাজায় ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, যা তিন পর্বে বিভক্ত এবং এর মধ্যে বন্দি বিনিময়, স্থায়ী শান্তি, যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
যদিও গাজায় ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের আপাতত অবসান ঘটেছে, তবুও এই ভূখণ্ডে ইসরায়েলি আক্রমণে ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে গাজায় আক্রমণ চালিয়ে আসছিল।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের আক্রমণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, এবং অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।