
কয়েকদিন ধরেই আবহাওয়া মেঘলা। সেই সঙ্গে বৃষ্টি তো আছেই। বৃষ্টিতে বাইরে গেলে ভিজে সর্দি-কাশিতে ভুগতে হয়। এছাড়াও এই সময়ে শাকসবজি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হয়। অসতর্ক হলে পেটে সমস্যা হতে পারে। তাই চিকিৎসকরা এই সময় কিছু সবজি এড়িয়ে যেতে বলছেন।
মাটির নিচের সবজি : আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের মতো খাবার সারাবছর খেতে হয়। কিন্তু বর্ষায় গাজর, মুলো, বিটরুটের মতো মাটির নীচের সবজি না খাওয়াই ভালো। এই সবজি বর্ষায় দ্রুত পচে যায়।
অঙ্কুরিত ছোলা এবং মুগ কলাই : অঙ্কুরিত ছোলা, মুগ কলাই স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। কিন্তু বর্ষাকালে এগুলো খাবেন না। আর্দ্রতা বেশি থাকার কারণে এসব খাবারে ই.কোলি, স্যালমনেলার মতো ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। এতে পেটের সমস্যা দেখা দেয়।
ফুলকপি, বাঁধাকপি এবং ব্রকোলি : শীতকালের অন্যতম সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি এবং ব্রকোলি। তবে বর্তমানে বছরজুড়েই এই সবজি তিনটি পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও বৃষ্টির দিনে ফুলকপি, বাঁধাকপি এবং ব্রকোলি খাওয়া উচিত না। আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে গিয়ে এই সবজিতে ব্যাকটেরিয়া জন্মায়, এ কারণেই এই সবজি তিনটি খেলে ফুড পয়জন হতে পারে।
মটরশুঁটি এবং ভুট্টা : মটরশুঁটি এবং ভুট্টা আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে এ কারণে এতে সহজে ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। তাই বৃষ্টির দিনে এই সবজি দুটি না খাওয়াই ভালো। খেলেও খুব ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে।
শাক : শাকে ফাইবার, ভিটামিন রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু তারপরেও বর্ষাকাল শাক খেতে হবে দেখেশুনে। বর্ষায় শাক খেলে ফুড পয়জন হতে পারে। পাতার ভেতর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। ঠিকমতো পরিষ্কার করে রান্না না করা হলে ক্ষতি আপনারই।
মাশরুম : বর্ষাকালে মাশরুমের তৈরি খাবার এড়িয়ে যাবেন। এই মৌসুমে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে মাশরুমেও ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এই সময় মাশরুম খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে।