
চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা আবারও সংকটের মুখে পড়েছে। সম্প্রতি, রেলের ইঞ্জিন সংকটের কারণে কনটেইনার পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়, যা ব্যবসায়ীদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের গুডস ইয়ার্ডে (সিজিপিওয়াই) দুই দিন ধরে আটকা পড়েছে কিছু কনটেইনার, তবে বন্দরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, এতে তেমন কোনো বড় জট সৃষ্টি হয়নি এবং লোকসান হয়নি। তবে ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত, কারণ তাদের মতে, এমন সংকটও তাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানা গেছে, গত সোমবার রাত ১২টা থেকে রেলের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পরিবহন কার্যক্রম থেমে যায়। কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পরও, ইঞ্জিন সংকটের কারণে কনটেইনারগুলো ছেড়ে যেতে পারেনি। সিজিপিওয়াইয়ের প্রধান ইয়ার্ড মাস্টার আবদুল মালেক কালবেলা জানান, কিছু রেক প্রস্তুত থাকলেও ইঞ্জিন সংকটের কারণে সেগুলো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক কালবেলা জানান, কর্মবিরতির কারণে সিডিপিওয়াইতে কনটেইনার পাঠানো সম্ভব হয়নি। তবে রেল চলাচল শুরু হলে পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক হয়ে যাবে এবং বড় ধরনের জট সৃষ্টি হবে না বলে তারা আশা করছেন।
এদিকে, ব্যবসায়ীরা এই পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তুষ্ট। বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সদস্য মাহাবুব রানা বলেন, “কনটেইনারে যে সমস্যা তৈরি হচ্ছে, তা ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।” তিনি আরও জানান, শিপমেন্টের কারণে কনটেইনার সময়মতো না পৌঁছালে, সামান্য দেরিতেও ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এছাড়া, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহায়ক কমিটির সদস্য মো. এম মহিউদ্দিন চৌধুরী অভিযোগ করেন, “এমন সংকটের কোনো যুক্তি নেই। কর্মবিরতির পরে কেন রেল বন্ধ থাকবে, তা রহস্যজনক।” তিনি রেল প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।