১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার
১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোকাকোলায় মিলল রাসায়নিক, বাজার থেকে প্রত্যাহার শুরু

শেয়ার করুন

চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের আকর্ষণ করার ক্ষেত্রে কোকাকোলার তুলনা মেলা ভার। বিশ্বের অনেক নামকরা সেলিব্রেটি কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে কোকাকোলার প্রচারে অংশ নেন। কিন্তু এবার এই জনপ্রিয় পানীয়তে মিলেছে উচ্চমাত্রার রাসায়নিক, যা নিয়ে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাজার থেকে কোকাকোলা কিছু পণ্য প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছে। এক্ষেত্রে, কোকাকোলার এত ব্যাপক পরিমাণ পণ্য বাজার থেকে তুলে নেওয়ার ফলে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

সম্প্রতি কোকাকোলায় পাওয়া গেছে ক্লোরেট নামক একটি রাসায়নিক, যা উচ্চমাত্রায় উপস্থিত। এর ফলে ইউরোপের কয়েকটি দেশ বাজার থেকে কোকাকোলা পণ্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। কোকাকোলা সোমবার জানায়, ২০২৪ সালের নভেম্বরে বেলজিয়াম, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, লুক্সেমবার্গ ও নেদারল্যান্ডসে এই ক্লোরেটযুক্ত ক্যান ও কাচের বোতল বিতরণ করা হয়েছিল। এরপর এক মাসের মধ্যে ৫টি পণ্য লাইন ব্রিটেনে পাঠানো হয়, যেগুলি ইতোমধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে।

ক্লোরেট সাধারণত পানি শোধন এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত ক্লোরিনভিত্তিক জীবাণুনাশক থেকে উৎপন্ন হয়। উচ্চমাত্রায় এটি শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। কোকাকোলার আন্তর্জাতিক বোতলজাতকরণ ও বিতরণ কার্যক্রমের বেলজিয়াম শাখা জানিয়েছে, ক্লোরেট উপস্থিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে কোকা-কলার পাশাপাশি ফ্যান্টা, স্প্রাইট, ট্রপিকো এবং মিনিট মেইড ব্র্যান্ডও। তবে কত সংখ্যক ক্যান ও বোতল প্রত্যাহার করা হয়েছে, তা এখনও নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি।

এর আগে ২০১৫ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিভুক্ত সংস্থা ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অথরিটি (ইএফএসএ) ক্লোরেট নিয়ে গবেষণা চালায়। ওই গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার বা পানীয়তে নির্দিষ্ট মাত্রায় ক্লোরেটের উপস্থিতি ক্ষতিকর নয়। যদিও বাজারে এসব পণ্য আসলেও এখন পর্যন্ত কোনও গ্রাহক এ নিয়ে অভিযোগ করেননি। কোকাকোলার ফরাসি শাখা বলছে, তারা স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে ক্লোরেটের মাত্রা পরীক্ষা করেছে এবং যে মাত্রায় এটি রয়েছে, তা স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ নয়।

 

শেয়ার করুন