১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার
১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘুমের আগে দরজা বন্ধ, বাতি নেভানোসহ আরও যেসব কাজের নির্দেশ হাদিসে

শেয়ার করুন

ঘুম শরীরের ক্লান্তি দূর করে, মনে প্রশান্তি আনে এবং কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি করে। দিনের দীর্ঘ পরিশ্রমের পর রাতের ঘুম আমাদের উদ্যম ও শক্তি ফিরিয়ে আনে। আল্লাহ তায়ালা বান্দার আরাম ও শান্তির জন্য ঘুমকে একটি নেয়ামত হিসেবে দান করেছেন। আল্লাহ বলেন, “তোমাদের ঘুমকে করেছি বিশ্রাম, করেছি রাতকে আবরণ।” (সূরা নাবা, আয়াত: ৯-১০)

অন্য একটি আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “আর তিনিই তোমাদের জন্য রাতকে করেছেন আবরণস্বরূপ, বিশ্রামের জন্য তোমাদের দিয়েছেন নিদ্রা এবং ছড়িয়ে পড়ার জন্য করেছেন দিন।” (সূরা ফুরকান, আয়াত: ৪৭)

কোরআনে রাতকে বিশ্রামের সময় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তবে হাদিসে দিনের বেলা কিছু সময় বিশ্রামের তাগিদ দেওয়া হয়েছে, যাকে ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় ‘কাইলুলা’ বলা হয়।

আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন, “তিনিই স্বীয় রহমতে তোমাদের জন্য রাত ও দিন করেছেন, যাতে তোমরা তাতে (রাতে) বিশ্রাম গ্রহণ করো ও (দিনে) তার অনুগ্রহ অন্বেষণ করো এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।” (সূরা কাসাস, আয়াত: ৭৩)

রাসূল (সা.) বিনা প্রয়োজনে রাত-জাগা অপছন্দ করতেন। আবু বারজা (রা.) বলেন, “রাসূলুল্লাহ (সা.) এশার আগে ঘুমাতে এবং এশার পর অহেতুক আলাপচারিতায় লিপ্ত হওয়া অপছন্দ করতেন।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৬৮)

প্রশান্তির ঘুমের জন্য আরামদায়ক পরিবেশ প্রয়োজন। ঘুমানোর আগে দরজা বন্ধ করা, বাতি নিভিয়ে দেওয়া এবং অন্যান্য কিছু কার্যক্রম করা উচিত। হাদিসে এসব বিষয়ে প্রিয় নবী (সা.) কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন।

হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবীজি (সা.) বলেছেন,
“তোমরা (শোয়ার আগে) ঘরের দরজা বন্ধ করে দিও, পানির পাত্রের মুখ ঢেকে বা বেঁধে দিও, থালাগুলো উপুর করে রেখো অথবা ঢেকে দিও এবং আলো নিভিয়ে দিও। কারণ, শয়তান বন্ধ দরজা খুলতে পারে না, মশকের বন্ধ মুখ উদম করতে পারে না এবং পাত্রের মুখ খুলতে পারে না। (আলো না নিভালে) মানুষের ঘরে দুষ্টু ইঁদুর আগুন লাগিয়ে দেয়।” (ইবনু মাজাহ, হাদিস: ৩৪১, মুসলিম)

এই কার্যক্রমগুলো আমাদের ঘুমের নিরাপত্তা এবং প্রশান্তি নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

 

শেয়ার করুন