
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের অশোভন আচরণের প্রতিবাদে ঢাকায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অবরোধ করেছেন।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে সায়েন্সল্যাব মোড় ও টেকনিক্যাল মোড়ে অবস্থান নেন তারা, যার ফলে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, সাত কলেজের সমস্যা ও ভর্তির আসন সংখ্যা কমানোর বিষয়ে তাদের ঢাবি প্রোভিসির (শিক্ষা) সঙ্গে যোগাযোগের পর, তিনি অশোভন আচরণ করে রুম থেকে বের করে দেন এবং বলেন, “সাত কলেজের বিষয়ে কিছু জানি না।” তারা আরও অভিযোগ করেছেন যে, ২১ দিন আগে স্মারকলিপি দেওয়ার পরও তিনি সেটি পড়েননি, এবং সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের চেনেন না বলে আক্রমণাত্মক ব্যবহার করেছেন। এর প্রতিবাদে তারা আন্দোলন শুরু করেছেন।
এ সময় শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুর রহমান ঢাবি প্রোভিসির অশোভন আচরণের জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো:
১. ২০২৪-২৫ সেশন থেকেই সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।
২. সাত কলেজের শ্রেণিকক্ষের ধারণক্ষমতার বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না।
৩. শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে।
৪. সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কিং পদ্ধতি প্রবর্তন করতে হবে।
৫. সাত কলেজের ভর্তি ফি নিয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে নতুন একটি অ্যাকাউন্টে ভর্তি ফি জমা রাখা হবে।