
দুর্নীতির অভিযোগে মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর, এবার এমপি পদ থেকেও টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবি উঠেছে।
টিউলিপ এই অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে মন্ত্রীদের নৈতিকতা বিষয়ক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসের কাছে উপস্থাপন করেছিলেন।
তবে স্যার লরি ম্যাগনাস তার তদন্তে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, টিউলিপ যখন দাবি করেছিলেন যে তিনি কিংস ক্রসের ফ্ল্যাটটি উপহার হিসেবে পাননি, তার সেই বক্তব্য জনতাকে বিভ্রান্ত করেছে।
লরি মন্তব্য করেছেন, এটি দুঃখজনক যে টিউলিপ তার পরিবারের সম্পর্কের কারণে সৃষ্ট ঝুঁকির বিষয়ে আরও সচেতন ছিলেন না। তিনি আরও বলেন, টিউলিপ ফ্ল্যাট কেনার টাকার উৎস বা তার টেক্স ফাইল কিংবা যথাযথ কাগজপত্র দিয়ে এও প্রমাণ করতে পারেননি যে ওই ফ্ল্যাটের সঙ্গে শেখ হাসিনার কোনো সম্পর্ক নেই। এটি অত্যন্ত ‘দুর্ভাগ্যজনক’ যে তাকে বাধ্য হয়ে রেকর্ড সংশোধন করতে হয়েছে।
লরি জানিয়েছেন, যদিও টিউলিপ মন্ত্রী হিসেবে কোনো আচরণবিধি ভঙ্গ করেননি এবং তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তবুও প্রধানমন্ত্রীর উচিত হবে তার চলমান দায়িত্ব পুনর্বিবেচনা করা।
তবে লরি ম্যাগনাসের মন্তব্যের পরও, টোরি পার্টির পক্ষ থেকে এমপি পদ থেকে টিউলিপের পদত্যাগের দাবিতে একটি প্রচারণা শুরু হয়েছে। তারা টিউলিপকে তার নির্বাচনী এলাকার জনগণের সামনে আনার জন্য আগামীকাল একটি পিটিশন দায়ের করবেন।
এই লক্ষ্যে তারা লিফলেট বিতরণ করছেন, যেখানে ৩.৯ বিলিয়ন পাউন্ড অর্থপাচারে টিউলিপের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে।
ক্যামডেনের সিনিয়র টোরি কর্মকর্তা ডেভিড ডগলাস বলেছেন, সবার কাছে তিনি একটি সুন্দরী ছোট্ট মেয়ে হিসেবে পরিচিত হলেও আদতে তিনি তা নন।
ব্রিটিশ দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী টিউলিপ মূলত তখনই পদত্যাগ করেন, যখন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারকে হাসিনার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে তাকে বরখাস্ত করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছিল।