
ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত চুয়াডাঙ্গার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। যদিও সকালবেলা কিছুটা রোদ দেখা গেলেও শীতের তীব্রতা কমছে না। এই পরিস্থিতিতে ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। আগামীকাল সোমবার থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আভাস দিয়েছে জেলার আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস, যা দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
এদিকে, তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোটাভাইরাসজনিত কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া এবং শীতজনিত অন্যান্য রোগে হাসপাতালে ২০০-৩০০ বয়স্ক ব্যক্তি চিকিৎসা নিচ্ছেন, এছাড়া প্রতিদিন ৩০০-৪০০ শিশু রোগীও চিকিৎসা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. রকিব সাদী।
কৃষক আজিম উদ্দিন জানান, “কৃষি কাজেই জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু তীব্র শীতে সকালে মাঠে কাজ করা সম্ভব নয়। ঠান্ডার মধ্যে কাজ করলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়, কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবারও কাজ শুরু করতে হয়। তবে পেটের দায়ে কাজ করতেই হচ্ছে।”
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, আগামীকাল সোমবার থেকে জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা দুদিন ধরে চলতে পারে। এরপর তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। তবে এই দুদিন সকালবেলা রোদ দেখা যেতে পারে।