১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

থাইল্যান্ডে যেতে ই-ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিরা

শেয়ার করুন

সাম্প্রতিক সময়ে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশিদের ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য যাতায়াত বেড়েছে। এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে থাইল্যান্ড দূতাবাস সম্প্রতি বাংলাদেশিদের জন্য ই-ভিসা চালু করেছে। চালুর সময় জানানো হয়েছিল, মাত্র ১০ দিনের মধ্যে সহজেই ভিসা পাওয়া যাবে। তবে ই-ভিসা প্রক্রিয়ায় নানা জটিলতায় ভ্রমণপ্রত্যাশীদের ভোগান্তি বেড়েছে।

ই-ভিসা প্রক্রিয়ার জটিলতা:
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ই-ভিসা পদ্ধতিতে আবেদন জমা দেওয়ার পর পেমেন্টের সময় বড় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। গত ১৯ ডিসেম্বর সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য এবং ২ জানুয়ারি থেকে সাধারণ পাসপোর্টধারীদের জন্য ই-ভিসা চালু হলেও আবেদনকারীদের বেশিরভাগই টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন।

মূল সমস্যা তৈরি হচ্ছে পেমেন্ট প্রক্রিয়া নিয়ে। থাই কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন ৪০০ অনলাইন ভিসা আবেদনের কোটা নির্ধারণ করেছে, কিন্তু দৈনিক ১৭-১৮ হাজার আবেদন জমা পড়ছে। পেমেন্ট গেটওয়ে হিসেবে শ্রীলঙ্কার কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন পিএলসি নির্ধারিত হওয়ায়, আবেদনকারীদের মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে পেমেন্ট সম্পন্ন করতে বলা হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ সময়ই পেমেন্ট অপশন ব্যর্থ হচ্ছে।

আবেদনকারীদের ভোগান্তি:
অনেকে ভিসা পাওয়ার প্রত্যাশায় থাইল্যান্ডের বিমান টিকিট কিনে ফেললেও ভিসা প্রক্রিয়ার জটিলতার কারণে তারা যেতে পারছেন না। একাধিক ভিসাপ্রত্যাশী জানিয়েছেন, আবেদন ফরম পূরণ করে পেমেন্ট করতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন। এমনকি তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করেও সফল হতে পারছেন না অনেকেই।

আগে বাংলাদেশিরা অনুমোদিত কেন্দ্র থেকে পাসপোর্ট জমা দিয়ে স্টিকার ভিসা পেতেন, যা সহজ এবং দ্রুত ছিল। সে সময় দিনে গড়ে ৮০০ ভিসা ইস্যু করা হতো। কিন্তু নতুন পদ্ধতিতে দিনে কেবল ৪০০ আবেদন প্রক্রিয়াকরণের সুযোগ থাকায় বিপুলসংখ্যক আবেদনকারী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

সমাধানের উদ্যোগ:
থাই দূতাবাস ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা প্রক্রিয়ার এই সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে। দূতাবাস জানিয়েছে, তারা সমস্যাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও জানায়, আবেদন যাচাই-বাছাই ও পেমেন্ট প্রক্রিয়া সহজ করার বিষয়ে কাজ চলছে।

অপেক্ষা এখন এই সমস্যার দ্রুত সমাধানের, যাতে বাংলাদেশি ভ্রমণপ্রত্যাশীরা নির্বিঘ্নে থাইল্যান্ডে যেতে পারেন।

 

শেয়ার করুন