১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার
২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অন্যের দোষ গোপন রাখার গুণ নিয়ে হাদিসে যা বলা হয়েছে

শেয়ার করুন

অন্যের দোষ গোপন রাখা একটি মহৎ গুণ, যার সুফল এই পৃথিবীতেই পাওয়া যায়। যে ব্যক্তি অন্যের দোষ গোপন রাখে, সে সবার কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে। অন্যদিকে, যে ব্যক্তি অন্যের দোষ প্রকাশ করে, সে সবার বিশ্বাস হারায় এবং তার সম্পর্কও নষ্ট হয়ে যায়। উত্তম চরিত্রের পরিচায়ক হলো—অন্যের ভুল-ত্রুটি গোপন রাখা এবং কখনো তা প্রকাশ না করা।

তবে আমাদের সমাজে অনেকেই অন্যের গোপনীয়তা প্রকাশ করতে ভালোবাসে, অনেকে যাচাই-বাছাই ছাড়াই তা প্রচার করে দেয়। এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—

‘তোমরা মুসলমানদের দোষ-ত্রুটি খুঁজে বের কোরো না। যে ব্যক্তি অন্যের দোষ খুঁজে বের করে এবং প্রকাশ করে দেয়, আল্লাহ তার দোষ প্রকাশ করে দেন। আর আল্লাহ যাকে তার দোষ প্রকাশ করেন, তাকে নিজ বাড়িতেই লাঞ্ছিত করেন।’ (আবু দাউদ: ৪৮৮০)

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, “আমার সকল উম্মত মাফ পাবে, তবে এক প্রকার পাপী আছে যারা মাফ পাবে না। তা হলো, কেউ যদি রাতে কোনো পাপকাজ করে, যা আল্লাহ গোপন রাখেন, কিন্তু পরদিন সকালে সে তা সবার কাছে প্রকাশ করে। সে এমনভাবে রাত্রি অতিবাহিত করেছিল যে আল্লাহ তার পাপ গোপন রেখেছিলেন, কিন্তু সে সকালে উঠে তা প্রকাশ করে দেয়, আর আল্লাহ তার পাপ প্রকাশ করে দেন।”’ (বুখারি: ৬০৬৯, মুসলিম: ২৯৯০)

আরেক হাদিসে রাসূল সা. বলেছেন, “এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। সে তার ভাইয়ের ওপর কোনো ধরনের জুলুম করতে পারে না, এবং তাকে শত্রুর হাতে তুলে দিতে পারে না। যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণে সহায়তা করে, আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করে দেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের কষ্ট দূর করে, আল্লাহ কিয়ামতের দিনে তার কষ্ট দূর করবেন। যে ব্যক্তি অন্যের দোষ গোপন রাখে, আল্লাহ কিয়ামতের দিনে তার দোষ গোপন রাখবেন।” (সহিহ বুখারি; সহিহ মুসলিম)

 

শেয়ার করুন