
প্রাদুর্ভাব-কবলিত দেশ থেকে আজারবাইজানে আসা এক ব্যক্তির শরীরে এমপক্স ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনিবার সন্দেহভাজন ওই রোগীকে হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন বলে আজারবাইজানের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আজারবাইজানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এমপক্স আক্রান্ত রোগীর বয়স ২২ বছর এবং তিনি আজারবাইজানের নাগরিক। তিনি গত ২ থেকে ১১ জানুয়ারির মধ্যে দেশের বাইরে ভ্রমণে ছিলেন।
রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদেশ থেকে ফেরার কয়েকদিন পর ওই ব্যক্তি বাকুর একটি ক্লিনিকে যান। তার শারীরিক দুর্বলতা, জ্বর, ত্বকে ফুসকুড়ি এবং পেশি ব্যথার অভিযোগ ছিল।
তবে তিনি কোন দেশ থেকে ফিরেছেন, সে বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি।
ইন্টারফ্যাক্স আরও জানিয়েছে, ওই রোগীর পরিবারের সদস্যরা তার সংস্পর্শে এলেও তাদের মধ্যে এমপক্সের কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। তাদের বাড়িতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রাদুর্ভাবের পর থেকে আফ্রিকার ডিআর কঙ্গোতে ২৭,০০০ জনের বেশি মানুষের মধ্যে এমপক্স শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই শিশু।
ডিআর কঙ্গোতে এই প্রাদুর্ভাবের ভয়াবহতা দেখে ২০২৩ সালের আগস্টে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এমপক্সকে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করে।
অত্যন্ত সংক্রামক এই ভাইরাস সাধারণত ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়। এমপক্সের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ফোলা, পিঠে এবং পেশি ব্যথা।
একবার জ্বর উঠলে রোগীর ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়, যা মুখ থেকে শুরু হয়ে হাত, পায়ের তলদেশসহ শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এসব ফুসকুড়ি চুলকানো ও ব্যথাদায়ক হয়। এটি ধীরে ধীরে বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে পুরু আস্তরণে পরিণত হয় এবং শেষে পড়ে গিয়ে দাগ রেখে যায়।
সাধারণত সংক্রমণের ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে এটি নিজে নিজেই সেরে যায়। তবে ছোট শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর জন্য এই রোগ মারাত্মক হতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে মুখ, চোখ, যৌনাঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে।