
আজই যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন দেবে ইসরায়েল
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং দখলদার ইসরায়েল গত বুধবার একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়। কাতারের আমির শেখ আব্দুলরহমান আল-থানি ঘোষণা করেন, যুদ্ধবিরতিটি আগামী রোববার থেকে কার্যকর হবে। তবে ইসরায়েলি সরকারের অভ্যন্তরীণ জটিলতার কারণে চুক্তি অনুমোদনে বিলম্ব হচ্ছিল। শোনা যাচ্ছিল যে শনিবার তারা এটি অনুমোদন করবে এবং আদালতের বিষয় নিষ্পত্তি হলে সোমবার থেকে কার্যকর হবে।
তবে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, আজই (শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি) ইসরায়েলি সরকার চুক্তির চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে, স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে পূর্ণ মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন সম্পন্ন হবে।
এর আগে, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করেন নেতানিয়াহু। সেখানেই পূর্ণ মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়।
হামলায় নিহতদের মর্মান্তিক পরিসংখ্যান
গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১০১ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৮২ জন গাজা সিটির বাসিন্দা। নিহতদের মধ্যে ২৭ জন শিশু এবং ৩১ জন নারী।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে গাজার জাবালিয়ায় একটি বাড়িতে ভয়াবহ হামলায় একই পরিবারের ৯ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছেন। এই পরিবারটি এক ফিলিস্তিনি সাংবাদিকের।
যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরও উত্তর গাজার জাবালিয়ায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার সেখানে অন্তত ২০ জন নিহত হন।
গাজার দীর্ঘস্থায়ী সংকট
গত ১৫ মাস ধরে গাজায় নিরবচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে আসছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং এক লাখের বেশি আহত হয়েছেন।
যুদ্ধবিরতির ঘোষণার সময় গাজার সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাস করেছিল। কিন্তু তাদের আশার বিপরীতে, ঘোষণার পর হামলার তীব্রতা আরও বেড়েছে। এতে নতুন করে নিহত হয়েছে অন্তত ১০১ জন, যারা শান্তিপূর্ণ জীবনের প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগেই এসব মানুষ পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন, যা গাজায় চলমান মানবিক সংকটকে আরও গভীর করেছে।