১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার
৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাদিসে বর্ণিত নয়টি কবিরা গুনাহ

শেয়ার করুন

কবিরা গুনাহ ও তা থেকে মুক্তির পথ

কবিরা গুনাহ বলা হয় এমন পাপকে, যার জন্য ইসলামে শাস্তি নির্ধারিত হয়েছে বা যা আল্লাহর ক্রোধ, অভিসম্পাত ও জাহান্নামের কারণ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, নিরপরাধ মানুষ হত্যা, ব্যভিচার, সুদ খাওয়া, এবং মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া।

কবিরা গুনাহের ধরন

তায়সাল ইবনে মায়্যাস (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি কিছু পাপ করেন যা তার মতে কবিরা গুনাহের শামিল ছিল। ইবনে ওমর (রা.) তাকে বলেন, কবিরা গুনাহ নয়টি:

১. আল্লাহর সাথে শরিক করা।
২. মানুষ হত্যা।
৩. জিহাদের ময়দান থেকে পলায়ন।
4. সতী-সাধ্বী নারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ব্যভিচারের অপবাদ।
৫. সুদ খাওয়া।
৬. ইয়াতিমের সম্পদ আত্মসাৎ।
৭. মসজিদে অনুচিত কাজ করা।
৮. ধর্ম নিয়ে উপহাস।
৯. সন্তানের অসদাচরণ, যা পিতা-মাতার কষ্টের কারণ হয়।

মাতার খিদমত ও জান্নাতের পথে ইবনে ওমরের পরামর্শ

তায়সাল (রহ.) ইবনে ওমর (রা.)-কে জিজ্ঞাসা করেন কীভাবে জান্নাত লাভ করা যাবে। ইবনে ওমর বলেন,

যদি তোমার মা জীবিত থাকেন, তার প্রতি বিনম্র হও।

তার ভরণপোষণ কর।

আল্লাহর ক্রোধ থেকে বাঁচতে এবং জান্নাত পেতে তোমার পিতা-মাতার সেবায় আত্মনিয়োগ কর।

তওবা ও তওবার নামাজ

যদি কেউ কবিরা গুনাহ করে ফেলে, তবে তা থেকে মুক্তি পেতে তওবা করা উচিত। হাদিসে এসেছে,
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:

> “যদি কেউ গুনাহ করে, তারপর পবিত্রতা অর্জন করে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তবে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন।”
(তিরমিজি, হাদিস: ৩২৭৬)

কবিরা গুনাহ থেকে বাঁচতে আল্লাহর ভয়, পিতা-মাতার সেবা এবং ইবাদতের প্রতি মনোযোগী হওয়া জরুরি। আর যদি কোনো গুনাহ হয়ে যায়, তওবা এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে মুক্তি সম্ভব।

 

শেয়ার করুন