
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার জন্য মোট খরচ হবে ১ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা। রোববার (১৩ জানুয়ারি) বিপিসির পরিচালনা পর্ষদের ১০০০তম সভায় এই আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে এই ডিজেল আমদানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
বিপিসির চলতি বছরের পরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা ৭৪ লাখ মেট্রিক টন, এর মধ্যে ৪৬ লাখ টন ডিজেল, যার ৮০ শতাংশ আমদানি করা হয়। বাকিটা স্থানীয় পরিশোধনাগার থেকে আসে। ভারত থেকে নিয়মিত ডিজেল আমদানির জন্য বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন তৈরি হয়েছে, যার মাধ্যমে নুমালিগড় রিফাইনারি থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে জ্বালানি তেল আসে। গত বছর ভারত থেকে ৭০ হাজার ৫৫ মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করা হয়েছিল।
বিপিসির চেয়ারম্যান আমিন উল আহসান জানান, চলতি বছরে ১ লাখ ৩০ হাজার টন ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৭০ হাজার টন এবং জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪০ হাজার টন আমদানি করা হবে। অতিরিক্ত ২০ হাজার টন ডিজেল আমদানিরও পরিকল্পনা রয়েছে। এই প্রস্তাবটি সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির অনুমোদনের জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে পাঠানো হবে।
এছাড়া, জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে সাতটি দেশের আটটি প্রতিষ্ঠান থেকে সোয়া ১৪ লাখ টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। এসব দেশ হলো ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান, এবং এই আমদানিতে ব্যয় হবে ১১ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে গ্যাস অয়েল ৮ লাখ ৮০ হাজার টন, জেট এ-ওয়ান ১ লাখ ৯০ হাজার টন, মোগ্যাস ৭৫ হাজার টন, ফার্নেস অয়েল ২ লাখ ৫০ হাজার টন ও মেরিন ফুয়েল ৩০ হাজার টন আমদানি করা হবে।