
হাদিসে সেবা ও ইবাদতের গুরুত্ব: জান্নাতে প্রবেশের গ্যারান্টি
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “আজ তোমাদের মাঝে কে সিয়াম পালনকারী?” আবু বকর রা. বললেন, “আমি।” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “আজ তোমাদের মাঝে কে একটা জানাজাকে অনুসরণ করেছ?” আবু বকর রা. বললেন, “আমি।”
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “আজ তোমাদের মাঝে কে একজন মিসকিনকে খাবার দিয়েছ?” আবু বকর রা. বললেন, “আমি।” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “আজ তোমাদের মাঝে কে একজন অসুস্থকে দেখতে গিয়েছ?” আবু বকর রা. বললেন, “আমি।”
তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “যার মধ্যে এই কাজগুলোর সমন্বয় ঘটেছে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬০৭৬)
এই হাদিস অনুযায়ী, রোজা, জানাজার নামাজ, গরিবকে খাওয়ানো এবং অসুস্থকে দেখতে যাওয়া—এই চারটি আমল একসাথে কারো মধ্যে থাকলে তার জান্নাতে যাওয়ার নিশ্চয়তা রয়েছে। এটি নবীজির ঘোষণা।
লক্ষ্যণীয় যে, এই হাদিসে বর্ণিত চারটি আমলের মধ্যে তিনটি সেবা সম্পর্কিত কাজ। আল্লাহ তাআলা তাঁর সৃষ্টির সেবা করতে অত্যন্ত খুশি হন। সুতরাং, এই ধরণের ইবাদতকে হেলা করা উচিত নয়।
যারা ফরজে কেফায়ার অজুহাতে জানাজায় শরিক হতে চান না, তাদের উচিত ভাবা, এ কাজটি আল্লাহ তাআলার কাছে কতটা মূল্যবান। নবীজির বাণী অনুসারে, যারা এই কাজগুলো করে তাদের জন্য জান্নাতের গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে এক মহান ইবাদত।