১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সামুদ্রিক প্রাণী রক্ষায় নতুন পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে সরকার

শেয়ার করুন

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সরকার সোয়াচ অব নো-গ্রাউন্ড মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়ার সমন্বিত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে, যার মাধ্যমে ডলফিন, তিমি, হাঙর, শাপলাপাতা মাছ, এবং সামুদ্রিক কাছিমসহ বিপন্ন সামুদ্রিক প্রাণী ও তাদের বাসস্থান রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ তথ্য জানান।

উপদেষ্টা আরও বলেন, এই পরিকল্পনা টেকসই মৎস্য আহরণ, উপকূলীয় জনগণের জীবিকা রক্ষা এবং সুনীল অর্থনীতির বিকাশে সহায়ক হবে। পরিকল্পনায় মৎস্য আহরণ, জাহাজ চলাচল, দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং পর্যটন ব্যবস্থাপনার জন্য স্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

তিনি জানান, পরিকল্পনায় তিনটি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে: ১. মাছের প্রজনন ও পোনা লালন-পালন এলাকা ২. সামুদ্রিক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এলাকা ৩. টেকসই মৎস্য আহরণ এলাকা।

এছাড়া, সংরক্ষিত এলাকার পরিধি ১,৭৩৮ বর্গকিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৬,৮৬৬ বর্গকিলোমিটার করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস, যুগ্মসচিব (বন) শামিমা বেগম এবং উপপ্রধান বন সংরক্ষক ও সুফল প্রকল্পের পরিচালক গোবিন্দ রায় উপস্থিত ছিলেন।

ওয়ার্ল্ড কনজারভেশন সোসাইটির সিনিয়র অ্যাডভাইজার ড. সৈয়দ আরিফ আজাদ সভায় প্রণীত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।

এটি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বিভিন্ন সংস্থা এবং উপকূলীয় জনগণের সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হবে, যা সামুদ্রিক সম্পদের সুষম ব্যবহার ও পরিবেশ সংরক্ষণের ভারসাম্য নিশ্চিত করবে।

 

শেয়ার করুন