১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান

শেয়ার করুন

দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, আইন শৃঙ্খলার অবনতি, চাঁদাবাজি, ট্রাফিক ব্যবস্থা ধ্বংসের পথে –
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা অনুগ্রহপূর্বক মানুষের খোঁজখবর নিন । চাঁদাবাজি যে কি হচ্ছে দেশে যা গত ৫৩ বছর হয়নি সব যোগ করলে ৩ ডবল হবে এবং সেই চাঁদাবাজির ঘটনা জানবে তো দূরে থাক, ভুক্তভোগী তারা চাঁদা দিয়ে আরো ভয়ে থাকে যে কেউ না জানে । এগুলি হল নিরব বিপ্লবের চাঁদাবাজি।

সারা বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার যে পরিস্থিতি কোন শিক্ষার্থীর পড়াশোনায় মনোযোগ নেই আছে শুধু ক্ষমতার লোভ, কিভাবে উপদেষ্টা হবে, ছাত্রনেতা হবে ,সেই দিকে লক্ষ্য ।এগুলি বন্ধ করা প্রয়োজন ।নতুবা দেশ আগামীতে মেধাশূন্য হবে । জাতী নেতৃত্ব হারাবে, নেতৃত্ব হবে মেধাশূন্য। কেউ আর নোবেল পুরস্কার পাবে না।

এখন আমি আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ে কিছু বলতে চাই দেশের পরিবহন সেক্টর থেকে শুরু করে সর্বত্র এক নৈরাজ্যকার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। লাগামহীন ভাবে পরিবহন সেক্টরে দুর্নীতি অরাজকতা। নিয়ন্ত্রণহীন কেউ কোন আইন-শৃঙ্খলা মানছে না এমনকি মানতে চায় না যেখানে সেখানে যত্রতত্র বাস থামা যানজট দিন দিন বেড়েই চলেছে। ব্যাটারি চালিত রিক্সা মেইন রোডে চলতেছে দেখার কেউ নেই। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শ্রমজীবী, কর্মজীবে প্রত্যেকেই এক অসহীন ও পর্যায়ে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছে। পরিবহন সেক্টরের লোকজনের সাথে মনে হয় না দেশে কোন সরকার আছে। দেশের কোন আইন আছে আমরা মুখে বলি। দেশে আইনের শাসন চলে আইন সবার জন্য সমান এটা শুধু মুখের কথা, বাস্তবে দেখিনা। আমরা কোথাও আইনের শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে দেখি না। কেউ বাস্তবায়নের কোন সুযোগ দেখায় না এভাবে কোন দেশে চলতে পারে না। কোন সভ্য জাতি চলতে পারে না ।ট্রাফিক সেক্টরে চরম বিপর্যয় কোনোভাবেই ট্রাফিক ব্যবসার উন্নতি হচ্ছে না ।তা কেউ দেখছে না কিভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ হবে তার কোন সঠিক উদ্যোগ দেখি না ।আপনারা যারা দায়িত্বে আছেন সবাই এটা বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিন ।সাধারণ মানুষকে স্বস্তিতে, শান্তিতে এবং নিরাপত্তায় রাখার জন্য কি কি করনীয় তা নিশ্চিত করুন। আমার বিশেষ অনুরোধ এখনও সময় আছে। আপনারা নির্দিষ্ট ভাবে পরিকল্পনার মাফিক রোড ম্যাপ তৈরি করুন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কি ,কি কাজ করবেন, কত দিনের মধ্যে করবেন , কিভাবে করবেন । সমন্বয়কদের দেখছি কেউ কেউ সরকারের পক্ষে কাজ করে আবার কেউ কেউ সরকারের বিপক্ষ কাজ করে এই ধরনের নাটক বন্ধ করা দরকার । আমার কাছে মনে হয় এই সরকার দিন দিন ব্যর্থ হতে চলেছে আমরা সাধারন নাগরিক দেখতে পাচ্ছি এ সরকার পুরোপুরি অন্ধকার নিয়ে যাচ্ছে। এই স্বল্প সময়ে এই সরকার ব্যর্থ হয়েছে ।এখনও সময় আছে আপনারা সোচ্চার হোন সতর্ক থাকুন দায়িত্বশীল ভাবে কাজ করুন। আমরা আপনাদেরকে ব্যর্থ হতে দেখতে চাই না।

অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত জবাবদিহিতা আইনের শাসন নিশ্চিত এবং টেকসই জন প্রতিনিধিত্বমূলক রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐক্যমত গঠনের ভিত্তিতে মৌলিক বিষয়গুলিকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা। যত দ্রুত নির্বাচন দিবেন ততই আপনাদের জন্য মঙ্গল নতুবা এর জের বহুদূর যাবে এবং আপনারা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আপনারা দেখেছেন সাধারণ জনগণ ক্ষেপে গেলে কি হয় তার উদাহরণ আপনারা স্বচক্ষে দেখেছেন এরপরও যদি আমাদের কর্ণকুহরে এবং মস্তিষ্কে সেটা লালন পালন ধারণ না করি তাহলে এর জন্য দায়ী আমরাই থাকবো । সাধারণ জনগণকে দোষারোপ করা যাবেনা। সবার বিবেক জাগ্রত হোক সে কামনাই করি । আল্লাহ আমাদেরকে হেদায়েত করুক। সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুক এ কামনাই করি।

মোঃ রবিউল আলম

শেয়ার করুন