
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে নতুন কোনো তথ্য নেই। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন।
শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে ভারতের সিদ্ধান্ত কী— এমন প্রশ্নের উত্তরে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা আগেও বলেছি যে বাংলাদেশের সরকার শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার জন্য একটি চিঠি দিয়েছে এবং আমরা সেই চিঠি গ্রহণ করেছি। এ বিষয়ে আমার কাছে আপাতত বলার মতো নতুন কিছু নেই।”
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৭৭ বছর বয়সী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। বর্তমানে তিনি দিল্লির একটি সুরক্ষিত এলাকায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। তার পলায়নের মাধ্যমে তার সরকারের পতন ঘটে এবং নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।
শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলন দমনে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার ও হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তাকে ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে সময় চিঠি গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
এদিকে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে সম্মিলিত সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডিরক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি গত ২৬ নভেম্বর গ্রেপ্তারের পর থেকেই কারাগারে আছেন।
২ জানুয়ারি আদালত তার জামিন আবেদন খারিজ করে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আগেও আহ্বান জানায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জয়সওয়াল বলেন, “আমরা আশা করি যে যারা বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হয়েছেন, তারা ন্যায়বিচার পাবেন। আমাদের অবস্থান এটুকুই।”