১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার
১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাঁচ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার ৯০ শতাংশ সফল : প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব

শেয়ার করুন

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটাই স্থিতিশীল এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও উন্নতি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, গত পাঁচ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনায় ৯০ শতাংশ সফল হয়েছে।

এক অনলাইন মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই দাবি করেন।

স্থিতিশীলতা এবং উন্নতি

দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে শফিকুল আলম বলেন,
“আমরা অশান্ত সময় পার করেছি। এখন দেশ অনেকটাই স্থিতিশীল। আইনশৃঙ্খলার উন্নতি ঘটেছে, অর্থনীতির চাকা সচল হয়েছে এবং আমলাতন্ত্রেও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। যদিও কিছু জায়গায় উত্তেজনা রয়ে গেছে, তবে সামগ্রিকভাবে আমরা সফল।”

অর্থনৈতিক অগ্রগতি

অর্থনীতির প্রসঙ্গ তুলে তিনি জানান,
“বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত বাড়ছে। রপ্তানি খাতেও ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। সেপ্টেম্বরে রপ্তানি বেড়েছে ৭ শতাংশ, অক্টোবরে ২১ শতাংশ এবং নভেম্বরে ১৬ শতাংশ। আমরা আশা করছি, ডিসেম্বরের শেষে ভালো প্রবৃদ্ধি হবে।”

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও তিনি বলেন,
“আমরা চাই অপরাধ আরও কমে আসুক। পরিস্থিতি সন্তোষজনক হলেও আরও উন্নতি দরকার।”

নির্বাচন ও সংস্কার

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি জানান,
“দুটি সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। ন্যূনতম সংস্কারের পর নির্বাচন ডিসেম্বরে হতে পারে। তবে যদি আরও সংস্কার প্রয়োজন হয়, তবে ছয় মাসের মতো সময় বাড়তে পারে। এই সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচিত সরকার এলে তারা এই সংস্কার আরও এগিয়ে নেবে।”

তিনি আরও জানান, ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে, যা জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশনের অধীনে কাজ করছে। অধ্যাপক ড. ইউনূস এর চেয়ারম্যান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন ও রাজনৈতিক বিতর্ক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের ঘোষণাপত্র সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে শফিকুল আলম বলেন,
“সরকার চায় এই ঘোষণাপত্রে সব রাজনৈতিক দলের মতামতের অংশগ্রহণ থাকুক। আমরা চাই সবাই ঐকমত্যে পৌঁছাক এবং সেখানে ড. ইউনূস থাকবেন।”

রাজনৈতিক বিতর্ক ও বিভেদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
“রাজনীতিতে বিতর্ক স্বাভাবিক। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মতের অমিল থাকবে। এটি শুধু আমাদের দেশে নয়, পশ্চিমা দেশগুলোতেও এমনটা দেখা যায়। তবে এসব বিতর্কের মাধ্যমেই সুষ্ঠু সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব।”

সবশেষে তিনি বলেন,
“আমাদের লক্ষ্য হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা এবং সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন করা।”

 

শেয়ার করুন