
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা ও পরিকল্পনা
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ না রাখতে ১২ কোটি ভোটারের তালিকা যাচাই করা হবে। তবে যাচাইকৃত পুরো ভোটার তালিকা প্রকাশ না করে কেবলমাত্র হালনাগাদ হওয়া ১৮ লাখ নতুন ভোটারের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
ভোটার তালিকা যাচাই ও হালনাগাদ:
১. পুরো তালিকা যাচাই:
২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সমস্ত ভোটার তালিকা যাচাই করা হবে।
তালিকায় মৃত ভোটার, দ্বৈত নিবন্ধন এবং বিদেশিদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা হবে।
২. নতুন ভোটারদের অন্তর্ভুক্তি:
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে যারা ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করবেন, তাদের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রয়োজনে অর্ডিন্যান্স জারি করে নতুন ভোটারদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা হবে।
ভোটার তালিকার বিতর্ক ও করণীয়:
নির্বাচন কমিশনের মতে, অতীতে বিতর্কিত ভোটার তালিকার তিনটি প্রধান কারণ:
1. মৃত ভোটারদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকা।
2. দ্বৈত নিবন্ধন।
3. বিদেশিদের প্রতারণার মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হওয়া।
চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার চেষ্টার বিষয়টি শনাক্ত করা হয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতি রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আইন সংশোধনের পরিকল্পনা:
ভোটার বয়স ১৭ করার বিষয়ে আলোচনা চলছে।
নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক মতৈক্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনি পরিবর্তন করতে পারে।
সেবার মানোন্নয়ন:
মাঠ পর্যায়ের এনআইডি সেবা ও হালনাগাদ কার্যক্রমের ভোগান্তি দূর করতে ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নেওয়া হয়েছে। পেন্ডিং থাকা প্রায় ৪ লাখ আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
হালনাগাদ কার্যক্রমের সময়সীমা:
২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হবে এবং ৩০ জুনের মধ্যে এটি সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করতে চায় যে শুদ্ধ ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে আসন্ন নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রশ্নমুক্ত রাখা হবে।