১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার
১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উপজেলা পর্যায়ে বাণিজ্য মেলা আয়োজনের পরামর্শ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

শেয়ার করুন

উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে সারা দেশের উপজেলা পর্যায়ে বাণিজ্য মেলা আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি জানিয়েছেন, এ উদ্যোগের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সরকার সরবরাহ করবে।

বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিসিএফসি) ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “মানুষ স্বাভাবিকভাবেই উদ্যোক্তা হয়। মানুষের কাজই হলো নিজের মনমতো কাজ করা। বাণিজ্য মেলা মানুষকে নিজের উদ্যোগ এবং সৃজনশীলতা প্রদর্শন করার সুযোগ দেয়, এবং এ সুযোগটি কাজে লাগাতে হবে।”

এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে আটটি দেশের ব্যবসায়ীরা—বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়া। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এবং টিকিটের মূল্য (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য) ৫০ টাকা এবং ১২ বছরের নিচে শিশুদের জন্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধীরা তাদের কার্ড প্রদর্শন করে মেলায় বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন।

এবারের মেলায় প্রথমবারের মতো অনলাইনে স্টল এবং প্যাভিলিয়ন স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসির ২০০টিরও বেশি শাটল বাস চলাচল করবে, পাশাপাশি বিশেষ ছাড়ে উবার সার্ভিসও পাওয়া যাবে।

এছাড়া মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে ‘জুলাই চত্বর’ এবং ‘৩৬ চত্বর’। দেশের তরুণদের রপ্তানি বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধ করতে নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন’।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ১৯৯৫ সাল থেকে ১ জানুয়ারি শুরু হয়ে আসছে, এবং এবারের মেলা এক মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে।

 

শেয়ার করুন