১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার
৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতায় প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী নিহত

শেয়ার করুন

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে প্রায় ১২,৯৪৩ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ২১,৬৮১ জন। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম মিডলইস্ট মনিটর, যা ফিলিস্তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চলমান এই হামলায় ৫৪২ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ৬৩০ জন শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মী নিহত হয়েছেন এবং ৩,৮৬৫ জন আহত হয়েছেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ব্যাপক ক্ষতি

গাজার যুদ্ধে ৪২৫টি স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ৬৫টি স্কুল এবং পশ্চিম তীরে ১০৯টি স্কুল ও সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়েও হামলার ক্ষতিসাধন হয়েছে।

গাজার মানবিক বিপর্যয়

৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর ইসরায়েল গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ ও গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ধ্বংস হয়েছে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ৮৫ শতাংশের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সেখানে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের চরম সংকট চলছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও বিচার দাবি

ইসরায়েলের বর্বর হামলায় গাজার ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষিত

যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের আহ্বান সত্ত্বেও ইসরায়েল তার হামলা অব্যাহত রেখেছে। এই আগ্রাসনের ফলে প্রায় ২০ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

গাজাকে পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার এ হামলা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং নীতির গুরুতর লঙ্ঘন বলে দাবি করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।

 

শেয়ার করুন