
এআই প্রযুক্তির ব্যবহার যেমন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুবিধা দিচ্ছে, তেমনি এর অপব্যবহার মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করছে। এরই একটি ভয়াবহ দিক হলো ডিপফেক প্রযুক্তি, যা নারীদের টার্গেট করে কুরুচিপূর্ণ ছবি তৈরি করে তাদের সামাজিক মাধ্যমে হেনস্তা করতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে এক বছরে জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করে প্রায় ১.৮ কোটি ডিপফেক ছবি তৈরি করা হয়েছে। এসব ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারী সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫.৯৭ কোটি। এর পরেই রয়েছে ভারত, যেখানে প্রায় ২.৪৫ কোটি ব্যবহারকারী এই ধরণের সাইটে সক্রিয়। তৃতীয় স্থানে জাপান (১.৮ কোটি), চতুর্থ স্থানে রাশিয়া (১.৭৫ কোটি), এবং পঞ্চম স্থানে জার্মানি (১.৬৮ কোটি)।
ভারতের দ্বিতীয় স্থানে থাকা নিয়ে অনেকেই অবাক হলেও, এটি আশ্চর্যের নয়। প্রায় প্রতিদিনই এই ধরণের অপরাধের খবর সামনে আসছে। বলিউডের তারকা ক্যাটরিনা কাইফ, রশ্মিকা মান্দানা, কাজলসহ অনেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী ডিপফেক প্রযুক্তির শিকার হয়েছেন।
সূত্র মতে, প্রায় ৮০% ব্যবহারকারী স্মার্টফোন ব্যবহার করে এসব সাইটে প্রবেশ করেন। তারা ছবি আপলোড করার পর, সেগুলোকে কুরুচিপূর্ণ বা আপত্তিকর রূপ দিয়ে ভাইরাল করা হয়।
চলতি বছরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিপফেক তৈরি করা ৪১টি সাইটের মধ্যে অর্ধেকের বেশি নতুনভাবে চালু হয়েছে। এর ফলে সাইবার বিশেষজ্ঞরা ক্রমাগত পদক্ষেপ নিচ্ছেন এবং সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।
এআই প্রযুক্তি মানুষের জীবনে বড় প্রভাব ফেলছে। তবে এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে, এর নেতিবাচক প্রভাব ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।