
-গোয়েন্দা সংস্থা, বিজিবিসহ অন্যরা কাজ করছে। সবার সঙ্গে সমন্বয় আছে। যদি কোনো ধরনের ঝুঁকি ডেভেলপ করে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা সদা প্রস্তুত আছি।
নতুন করে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা সেনাবাহিনীর সরাসরি কার্যক্রমের প্রয়োজন এখনো হয়নি। বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও সরকারের অন্যান্য সংস্থা কাজ করছে। সম্প্রতি বেশ কিছু রোহিঙ্গা অনু্প্রবেশ করেছে। তাদের নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি ওইসব সংস্থা দেখছে।
সচিবালয়ের মতো জায়গায় আগুন লেগেছে। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার কোনো ঝুঁকি আছে কি না? থাকলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ইন্তেখাব বলেন, সচিবালয়ের আগুন কেবলই ঘটেছে। বিস্তারিত এখনো পাইনি। পেলে আমরা বলব। কেপিআই এলাকায় নিরাপত্তা অবশ্যই আমাদের দায়িত্বভুক্ত। আমরা আজকে না, সেনা মোতায়েনের সময় থেকেই প্রত্যেকটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং এ সংশ্লিষ্ট যারা আছে, তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রত্যেকটা হুমকি পর্যালোচনা করা হয় এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
প্রশাসন ক্যাডারের মধ্যে যে অস্থিরতা চলছে, এর জেরে আগুন দেওয়া হয়েছে কি না? অনেকে এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলছে। সেনাবাহিনী এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পেয়েছে কি না? জবাবে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, আগুনের ঘটনায় তদন্ত হলে পেছনের কারণটা জানা যাবে। তখন বলা যাবে, এক্সিডেন্ট নাকি কেউ ঘটিয়েছে। সচিবালয়ের পাশে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প আছে। তারা সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থেকে বাহ্যিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। আগুন লাগার পর সেনা সদস্যরা ফায়ার সার্ভিসকে সর্বাত্বক সহায়তা করেছে।
বান্দরবানের লামায় আগুনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমিজমাসংক্রান্ত পুরোনো বিরোধ অথবা সমস্যা ছিল। যেটা ফলশ্রুতিতে ঘটনাটি ঘটেছে। কারা ঘটিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবশ্যই গ্রহণ করা হবে।
সম্প্রতি চাঁদাবাজিতে হাতবদল হয়েছে বলে অভিযোগ আসছে। চাঁদাবাজদের তালিকা ধরে সেনাবাহিনী কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আলাদা কোনো তালিকা করে কাজ করছি না। তালিকা একটাই। সরকারের পক্ষ থেকে সমন্বিতভাবে কাজ করা হচ্ছে।