১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার
৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

শেয়ার করুন

-বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে গুম কমিশন। বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এর আগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ বিষয় নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?

জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, গত দুই দশকে শত শত বাংলাদেশিকে জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে এমন প্রতিবেদনে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। জোরপূর্বক গুম একটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন যা ভুক্তভোগীদের অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য আটক বা নিখোঁজ হওয়ার মতো ট্রমা বা মানসিক যন্ত্রণা দেয়। এটি তাদের পরিবারের ওপর অনিশ্চয়তার ট্রমা সৃষ্টি করে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এসব অপরাধ তদন্তে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানায় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, গুমের শিকার ব্যক্তি এবং তার পরিবারের সদস্যদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতে স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিতের জন্য আমরা আহ্বান জানা।

স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন বেদান্ত প্যাটেল এসব কথা বলেন।

এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক সম্প্রতি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা করেছে- তারা সম্ভবত ২০২৫ সালের শেষের দিকে বা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে নির্বাচন আয়োজন করবে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশের এই অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে আমরা স্বাগত জানাই যা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশি জনগণকে তাদের নিজস্ব নেতৃত্ব নির্বাচন করার সুযোগ দেবে। নির্বাচন আয়োজনের সময় নির্ধারণ এমন একটি বিষয়ে যেদিকে আমাদের অব্যাহত পর্যবেক্ষণ থাকবে। অবশ্যই এই পুরো প্রক্রিয়াজুড়ে আইনের শাসন, একইভাবে গণতান্ত্রিক মূলনীতির বাস্তবায়নকে আমরা উৎসাহিত করছি। যেমনটা আমরা সমগ্র বিশ্বে চাই- শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পক্ষেই আমাদের অবস্থান।

এক প্রশ্নকারী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতন ও তাদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ নিয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, অবশ্যই এই বিষয়টি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। দেশের যে কোনও জায়গায় আমরা প্রথমে নিশ্চিত করতে চাই যে- বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে, সকল মানুষের মৌলিক মানবাধিকার এবং মানবিক মর্যাদাকে সম্মান করা হচ্ছে। এটি এমন একটি বিষয় যা আমরা বিশ্বজুড়ে সকল দেশ ও সরকার এবং অংশীদারদের সাথে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে অবশ্যই অন্তর্বর্তী সরকারের সাথেও আমরা তেমনটাই করব।-

শেয়ার করুন