১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার
১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাবিতে নবান্ন-পিঠা উৎসবে কৃষি অনুষদে উৎসবের আমেজ

শেয়ার করুন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ চত্বরে শীতের সকালে ছড়িয়ে পড়েছিল নবান্ন আর পিঠার মনভোলানো সুবাস। ‘হিম হিম শীতের বাতাস, উষ্ণতায় ছড়ায় পিঠা-পুলির সুবাস’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রোববার (১৬ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয় এগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচার এক্সটেনশন সমিতির আয়োজিত নবান্ন ও ‘পিঠা উৎসব ১৪৩২’।

সকাল ৯টায় ধান কেটে উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। নতুন ধান ঘরে তোলার গ্রামীণ ঐতিহ্যের দৃষ্টিনন্দন প্রতিফলন দেখা যায় পুরো কৃষি অনুষদ এলাকায়। উদ্বোধনের পর শুরু হয় পিঠার জমজমাট আয়োজন, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অসংখ্য মানুষ ভিড় করেন।

প্রতি বছরের মতো এবারও পিঠা খাওয়া, নাচ-গান ও আনন্দ-উচ্ছ্বাসে উৎসব প্রাঙ্গণ মুখর হয়ে ওঠে। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উৎসবে যোগ করে নতুন মাত্রা।

উৎসবে শিক্ষার্থীদের তৈরি প্রায় দেড় শতাধিক পিঠা ছিল সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বিভিন্ন স্টলে সাজানো ছিল দুধপুলি, চন্দ্রপুলি, তালপিঠা, নকশি পিঠা, পাটি সাপটা, গোলাপ ফুল পিঠা, শামুক পিঠা, দুধচিতই, মালাই বিহার, মোহনভোগ, মাছের পিঠা, গাজরের হালুয়া, খিরপুলি, ডাবের পুডিংসহ আরও বহু পিঠা-পায়েস। দাম শুরু মাত্র ১০ টাকা থেকে।

শিক্ষার্থীরা জানান, নবান্ন উৎসব তাদের সাংস্কৃতিক শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত রাখে। নতুন ধানের আগমনকে কেন্দ্র করে পিঠা তৈরি ও উৎসব আয়োজন বিভাগের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য।

এগ্রোনোমি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নবান্ন বাংলাদেশের কৃষি সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শিক্ষার্থীদের এমন প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ তাদের উৎসাহিত করে এবং ঐতিহ্যকে ধরে রাখে।

সিএনআই/২৫

শেয়ার করুন