
ডালিমকে বলা হয় প্রকৃতির ‘রত্নভান্ডার’, কারণ এর লালচে দানায় লুকিয়ে আছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন ৩০ দিন ডালিম খেলে শরীরে যে ১০টি অবিশ্বাস্য পরিবর্তন ঘটে, তা হলো—
১. হৃদযন্ত্রে সুরক্ষা:
ডালিমের রস রক্তচাপ ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়, ‘ভালো’ এইচডিএল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
২. ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা:
ত্বকের কোলাজেন ধরে রাখে, তৈলাক্ত ভাব কমায়। বলিরেখা কমে ও ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়।
৩. প্রদাহ কমায়:
ডালিমের পিউনিকালাজিন শরীরে জমে থাকা প্রদাহ হ্রাস করে, ব্যথা ও ক্লান্তি প্রশমিত হয়।
৪. স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধি:
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, শেখা ও মনে রাখার ক্ষমতা উন্নত হয়।
৫. হজমশক্তি ও অন্ত্র স্বাস্থ্য:
প্রাকৃতিক প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে, উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে, গ্যাস-অম্বল কমায়।
৬. রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ:
ডায়াবেটিস বা উচ্চ শর্করাযুক্তদের জন্য উপকারী, ইনসুলিন কার্যকারিতা বাড়ায়।
৭. পেশি পুনরুদ্ধারে সহায়তা:
ব্যায়ামের পর ক্লান্তি দূর করে, পেশিতে প্রদাহ কমায় ও শক্তি ফেরায়।
৮. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
মাঝারি ডালিমে দৈনিক ভিটামিন-সি’র প্রায় ৩২% থাকে। ফোলেট, পটাশিয়াম ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্টও রয়েছে।
৯. কিডনি সুরক্ষা ও টক্সিন নিরোধ:
খনিজ ভারসাম্য রক্ষা করে, কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি কমায় ও শরীর থেকে টক্সিন বের করে।
১০. ওজন কমাতে সহায়তা:
ওজন, রক্তে গ্লুকোজ, ইনসুলিন ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ডালিম শুধু ফল নয়; এটি হৃদরোগ, ত্বক, মস্তিষ্ক, কিডনি ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় এই লালচে রত্ন যোগ করলেই আপনি পরিবর্তনের প্রভাব টের পাবেন।
সিএনআই/২৫