
-আজ শুক্রবার মহাষ্টমী। মণ্ডপ-মন্দিরে ভক্ত দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়।এদিনের মূল আকর্ষণ থাকে কুমারী ও সন্ধিপূজা। মহাষ্টমীর দিন সকাল থেকেই দেবীর মহাষ্টমী কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা শুরু হয়।
এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় কুমারী পূজা শুরু হয়ে শেষ হয় সাড়ে ১০টায়। দেবী পুরাণে কুমারী পূজার সুস্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।
-আজ দুপুর থেকেই মন্দির ও মণ্ডপে প্রতিমা দর্শনে বেরিয়ে পড়েন অনেকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়তে থাকে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ভিড়। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা গতকাল থেকেই বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শুরু করেছেন। পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ভক্তরা জানান, ষষ্ঠী থেকে দুর্গাপূজার শুরু হলেও উৎসবের আনন্দটা পুরোদমে শুরু হয় মহাঅষ্টমী থেকে। মায়ের আগমনে আনন্দ করার পাশাপাশি থাকবে বিশ্বশান্তির জন্য মঙ্গল কামনাও। এবার সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় পূজা হওয়ায় সবাই নিরাপদ অনুভব করলেও সবার মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হবে, দেবীর কাছে সেই প্রার্থনাই করেছেন তারা।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ধর্মদাশ চট্টোপাধ্যায় জানান, ষষ্ঠীতে দেবী দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও বেলবরণ পূজায় দেবীদুর্গার আগমন ঘটে। এরপর সপ্তমীতে পূজা দিলে সপ্তজনমের, মানে সাত জনমের পাপ মোচন হয়ে যায়।
হিন্দু পুরাণ মতে, মহাসপ্তমীতে ভক্তদের কল্যাণ ও শান্তির আশীর্বাদ নিয়ে হিমালয় কন্যা দেবী দুর্গাপূজার পিঁড়িতে বসেন। শুরু হয় মূল পূজা। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী। সকালে নবপত্রিকা স্নান ও পূজার পর দেবীর চক্ষুদানের মধ্য দিয়ে প্রতিমায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ভক্তের কাছে মৃণ্ময়ী প্রতিমা হয়ে উঠেছে চিণ্ময়ী। দেবীর চরণে অঞ্জলি দিয়ে তাই ভক্তরা জানিয়েছেন তাদের মনের আকুতি।
ধর্মদাশ চট্টোপাধ্যায় জানান, এবার তিথির কারণে অষ্টমী পূজাও আগে হবে। শুক্রবার সকাল ৬টার আগে অষ্টমী পূজা শেষ হয়েছে এবং এরপর সন্ধিপূজা।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির তথ্য মতে, এ বছর সারাদেশে ৩১ হাজার ৪৬১টি মণ্ডপ ও মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর সারাদেশে ৩২ হাজার ৪০৮টি দুর্গাপূজা হয়েছিল। সেই হিসাবে এবার ৯৪৭টি দুর্গাপূজা কম হচ্ছে। আর ঢাকা মহানগরে এবার ২৫২টি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর ঢাকা মহানগরে ২৪৮টি পূজার আয়োজন হয়। সেই হিসাবে এবার ঢাকা মহানগরে চারটি পূজা বেড়েছে।
পিতৃপক্ষের অবসানে গত ২ অক্টোবর শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষ সূচিত হয়েছে, যা মাতৃপক্ষ নামেও অভিহিত-