
গণঅভ্যত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পাঁচই অগাস্ট বিকেলে যশোরের একটি অভিজাত হোটেলে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। যেখানে একজন বিদেশি নাগরিকসহ অন্তত ২৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। সেদিন নিহতদের মধ্যে অনেকে ওই হোটেলটিতে হামলা করতে গিয়ে মারা গিয়েছিলেন।
এদের মধ্যে ২৪ জনের নাম অন্তর্ভূক্ত হয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের জুলাই শহীদের তালিকায়। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে একজনের নাম বাতিল করে বাকিদের বিষয়েও যাচাই-বাছাই শুরু করেছে প্রশাসন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাঁচই অগাস্ট বিকেলে হামলা হয় যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের মালিকানাধীন ওই হোটেলে। ভাঙচুর-লুটপাটের পর আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় ১৪ তলা ভবনটিতে।
সেদিন ওই এলাকায় কর্মরত ছিলেন এমন একাধিক গণমাধ্যমকর্মী বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের খবরে শহরের নানা প্রান্তে মিছিল বেরিয়েছিল। হামলা, ভাঙচুরও চালানো হয়েছিল অনেক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।