১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার
১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইয়ারফোন ব্যবহারে বিপদ বাড়ছে তরুণদের, সমাধানের উপায়

শেয়ার করুন

 

হেডফোন ও ইয়ারফোনের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। অনেকেই মনে করেন, নয়েজ ক্যানসেলিং ইয়ারফোন নিরাপদ, কারণ এটি বাইরের শব্দ ব্লক করে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি কানের জন্য মোটেও নিরাপদ নয়।

কীভাবে ক্ষতি হয়?

কানের কোষ নষ্ট হয় – উচ্চ শব্দ তরঙ্গ কানের সূক্ষ্ম কোষের ক্ষতি করে, যা শ্রবণশক্তি কমাতে পারে।
স্নায়ুতে প্রভাব ফেলে – মস্তিষ্কের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে, যা মাথাব্যথা, ক্লান্তি ও মনোযোগের ঘাটতি তৈরি করতে পারে।
শ্রবণশক্তি স্থায়ীভাবে নষ্ট হতে পারে – ৮০ ডেসিবেলের বেশি শব্দ কানে গেলে শ্রবণশক্তি চিরস্থায়ীভাবে নষ্ট হতে পারে।
ভারসাম্য হারানোর ঝুঁকি – কান শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে, তাই অতিরিক্ত ইয়ারফোন ব্যবহারে মাথা ঘোরা বা ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে।

কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

২০-২০-২০ নিয়ম মেনে চলুন – ২০ মিনিট পরপর ২০ সেকেন্ডের জন্য বিরতি নিন এবং ২০ ডেসিবেল কম আওয়াজে শুনুন।
সাউন্ড লিমিট মেনে চলুন – ৬০% ভলিউমের বেশি ব্যবহার করবেন না।
ওভার-ইয়ার হেডফোন ব্যবহার করুন – ইন-ইয়ার ইয়ারফোনের তুলনায় এটি কম ক্ষতিকর।
নয়েজ ক্যানসেলিং হলেও সচেতন থাকুন – কম ভলিউমে ব্যবহার করুন এবং একটানা বেশি সময় ব্যবহার করবেন না।
বিকল্প ব্যবহার করুন – সরাসরি ফোনে কথা বলুন, স্পিকারে শুনুন বা কাজের সময় হেডফোনের বিকল্প ভাবুন।

অতিরিক্ত ইয়ারফোন ব্যবহারে ভবিষ্যতে স্থায়ী বধিরতার ঝুঁকি রয়েছে। তাই এখনই সচেতন হন, নয়তো কানের ক্ষতি আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না।

 

শেয়ার করুন