১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার
২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেক্সিকো-কানাডা-চীনের ওপর ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ

শেয়ার করুন

মেক্সিকো, কানাডা ও চীনের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো ক্লাবে এই আদেশে স্বাক্ষর করেন তিনি।

এ নতুন শুল্কের উদ্দেশ্য অভিবাসীদের প্রবেশ ঠেকানো, তবে সিএনএন জানিয়েছে, এর ফলে অ্যাভোকাডো, স্নিকার, গাড়ি এবং অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়বে। কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বেশ কয়েক বছর ধরেই শুল্কবিহীন বাণিজ্য হয়ে আসছিল, কিন্তু এই আদেশের মাধ্যমে সেই নীতি থেকে সরে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের সঙ্গে মার্কিন বাণিজ্যিক যুদ্ধও দীর্ঘ সময় ধরে চলছিল।

গত নভেম্বরে নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, মেক্সিকোর সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক এবং কানাডার বেশিরভাগ পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, এবং চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।

এই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ‘ডি মিনিমিস’ নামে একটি লুপহোল বন্ধ হবে, যার মাধ্যমে ৮০০ ডলার বা তার কম দামের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হতো না। এটি ছোট ব্যবসায়ীরা ও কিছু চীনা প্রতিষ্ঠান যেমন শিন এবং থেমুর ব্যবহার করত।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন বলছে, ফেনটানেল এবং অবৈধ অভিবাসীদের আসা ঠেকাতে এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে এ কারণে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে এই শুল্কের ওপর ট্রাম্প একটি ধারা যুক্ত করেছেন, যাতে পাল্টা শুল্ক আরোপকারী দেশগুলোর ওপর শুল্কের পরিধি বাড়ানো যাবে।

সিএনএন জানায়, কানাডার জ্বালানি পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক নাগরিক কানাডার জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল, ফলে তাদের জন্য অতিরিক্ত খরচ বাড়তে পারে। তারপরও, ট্রাম্প জাতীয় অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থার ঘোষণা দিয়েছেন, যা তাকে জ্বালানি আমদানি নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা প্রদান করবে।

 

শেয়ার করুন