
বায়িং হাউজগুলোর ব্যবসা পরিচালনা করতে পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন প্রয়োজন ছিল, তবে এখন তারা বস্ত্র দপ্তর থেকে অনুমোদন নেয়। এ কারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। তাই, বায়িং হাউজগুলোর অনিয়ম শনাক্ত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বস্ত্র দপ্তরের সহায়তা চেয়ে তাদের কাছে পরামর্শ দেবে।
৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
তিনি আরও বলেন, বায়িং হাউজগুলো যদি কোনো অনিয়মে জড়ায়, তবে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। এই কারণে তাদের উপর নজরদারি বৃদ্ধি করতে বস্ত্র দপ্তরের কাছে সহায়তা চাওয়া হবে। একইভাবে, শিপিং প্রতিষ্ঠানগুলো যেন অনুমোদন ছাড়া কোনো পণ্য পরিবহন না করতে পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আলোচনা হয়েছে।
এলসি খোলার বিষয়ে হাতেম বলেন, এলসি খোলার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা না থাকলেও অনেক সময় বায়াররা পেমেন্ট দিতে চাইছেন না। রপ্তানিকারকরা এলসি খোলার নিয়ম অনুসরণ করলেও এর পরবর্তী কার্যক্রম ব্যাংক টু ব্যাংক হওয়ায় মাঝে মাঝে সমস্যা সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশি ব্যাংকগুলো মাঝে মাঝে এলসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় নেয়, যা শিপমেন্ট শিডিউল ঠিক রাখতে সমস্যা তৈরি করে এবং ব্যবসায়ীদের লোকসানের কারণ হয়।
এছাড়া, কখনো কখনো রপ্তানি আয়ের দেরিতে আসার কারণে ব্যাংকগুলো রপ্তানিকারকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে, অথচ ব্যাংকগুলো নিজেরাই সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে না।