১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যে কাজে আল্লাহ ভালোবাসবেন, মানুষেরও প্রিয় হওয়া যাবে

শেয়ার করুন

আল্লাহ তায়ালার প্রিয় হওয়ার জন্য বিভিন্ন আমল ও গুণ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এই আমলগুলো যত্নসহকারে পালন করলে আল্লাহ তায়ালা বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হন, তাকে ভালোবাসেন এবং পরকালের জন্য বিশেষ নেয়ামত ও পুরস্কার প্রস্তুত রাখেন।

দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি

হাদিসে বর্ণিত আল্লাহর প্রিয় হওয়ার অন্যতম একটি গুণ হলো দুনিয়ার প্রতি অনাসক্ত হওয়া। অর্থাৎ, আল্লাহর দেওয়া নিয়ামত যদি নিজের কাছে না থাকে, তবে তার জন্য কষ্ট না পাওয়া এবং এর প্রতি লোভী না হওয়া। এই গুণটি শুধু আল্লাহর কাছে প্রিয় হওয়ার মাধ্যম নয় বরং এটি মানুষকেও অন্যদের ভালোবাসার পাত্র হিসেবে গড়ে তোলে।

প্রাসঙ্গিক হাদিস:

হজরত সাহল বিন সাদ আস-সাঈদী (রা.) থেকে বর্ণিত:
এক ব্যক্তি নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন একটি কাজের কথা বলুন, যা করলে আল্লাহ আমাকে ভালোবাসবেন এবং লোকেরাও আমাকে ভালোবাসবে।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
“তুমি দুনিয়ার প্রতি অনাসক্ত হও, তাহলে আল্লাহ তোমাকে ভালোবাসবেন। আর মানুষের কাছে যা আছে, তার প্রতি অনাসক্ত হয়ে যাও, তাহলে তারাও তোমাকে ভালোবাসবে।”
(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪১০২)

আল্লাহর প্রিয় বাক্য

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
“দুটি বাক্য রয়েছে, যা বলা খুব সহজ এবং আমলের পাল্লায় অনেক ভারী। এগুলো আল্লাহর কাছেও অত্যন্ত প্রিয়।”
সেগুলো হলো:
“সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।”
(বুখারি, হাদিস: ৬৪০৬)

আরবি:
سُبْحانَ اللَّهِ وبِحَمْدِهِ، سُبْحانَ اللَّهِ العَظِيمِ

উচ্চারণ:
সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম।

অর্থ:
মহান সেই আল্লাহ এবং তারই সকল প্রশংসা। মহান সেই আল্লাহ, যিনি সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী।

আল্লাহর প্রিয় হওয়ার জন্য দুনিয়ার প্রতি অনাসক্ত থাকা, আল্লাহর দেওয়া নেয়ামতের জন্য লোভ না করা এবং উল্লেখিত দোয়া নিয়মিত পাঠ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই গুণাবলি ও আমল বান্দাকে শুধু আল্লাহর প্রিয় করে তুলবে না, বরং মানুষের কাছেও সম্মানিত করবে।

 

শেয়ার করুন