
সপ্তাহ তিনেক আগে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ৯টি ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি প্রকাশ করে। ৯ ফেডারেশনের কমিটি নিয়ে কম-বেশি আলোচনা হলেও কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগকে নিয়ে সমালোচনা-আপত্তির ঝড় উঠেছে। কাবাডি অঙ্গনের অনেকে সোহাগকে সাধারণ সম্পাদক মেনে নিতে পারছেন না। এজন্য চিঠি চালা-চালি, প্রতিবাদ অনেক কিছুই হয়েছে।
সাবেক কাবাডি খেলোয়াড়, সংগঠকদের অনেকে অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগের ওপর নানা অভিযোগ আনছেন। ফলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কমিটি সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে। আজ সোহাগের ওপর আনীত অভিযোগসমূহ তদন্তের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ একটি চিঠি ইস্যু করে। সেই চিঠির শুরুতে উল্লেখ রয়েছে, ‘বিতর্কিত অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ সোহাগের দুর্নীতির পরিপূর্ণ আইনী তদন্ত করার জন্য জনাব পরিচালক (অর্থ)-কে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হলো।’
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (ক্রীড়া) শামসুল আলম স্বাক্ষরিত চিঠি নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অ্যাডহক কমিটি প্রকাশ করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। নিজের ঘোষণা করা কমিটিকে খোদ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদই ‘বিতর্কিত’ শব্দ উল্লেখ করছে চিঠিতে যা স্ববিরোধী আচরণ।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক সাইদুর রশিদকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ ও সমালোচনা নজরে পড়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের। সেই প্রেক্ষিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সোহাগের ওপর পূর্ণ আইনী তদন্তের পদক্ষেপ নিয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উদ্যোগ ভালো হলেও চিঠির শব্দচয়নে উল্টো সমালোচনা চলছে।
কাবাডি ফেডারেশনের কমিটি নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভালোই বিপাকে রয়েছে। ৯টি কমিটির মধ্যে একমাত্র কাবাডি ফেডারেশনের কমিটিতে একটি নাম হাতে লেখা ছিল। সেই যুগ্ম সম্পাদক নিয়ে সমালোচনা হওয়ায় এক দিন পরই সেটা বদলে দেয় এনএসসি। এখন সাধারণ সম্পাদক নিয়ে তদন্ত করবে।
কাবাডি ফেডারেশনে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক সভাপতি মনোনীত হন। বিগত সময়ের রীতি বহাল রেখে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অ্যাডহক কমিটিতে মোঃ ময়নুল ইসলামকে সভাপতি মনোনীত করেছিল। আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সচিব এক প্রজ্ঞাপনে নতুন পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলমকে কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।