
বাংলাদেশের সরকারি অবকাঠামো উন্নয়নের মূল কেন্দ্র গণপূর্ত অধিদপ্তরে নতুন নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামান চৌধুরী। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা খালেকুজ্জামান চৌধুরীকে সম্প্রতি প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। সততা, পেশাদারিত্ব এবং দক্ষতার কারণে তিনি দীর্ঘদিন ধরে গণপূর্ত পরিবারের আস্থার প্রতীক হিসেবে পরিচিত।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। শুরু থেকেই খালেকুজ্জামান চৌধুরী তার দক্ষতা, নেতৃত্বগুণ এবং সময়নিষ্ঠার মাধ্যমে সহকর্মীদের আস্থা অর্জন করেছেন। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন, মেগা প্রজেক্ট ব্যবস্থাপনা, প্রাক্কলন এবং আর্থিক শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে তার অবদান বারবার প্রমাণ করেছে তার যোগ্যতা।
সহকর্মীরা বলেন, “খালেকুজ্জামান স্যার সব সময় মাঠে থাকেন। তিনি বাস্তবসম্মত সমাধান দেন, কাগজে নয়।” তিনি বিশ্বাস করেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রকৃত মানায়ন মানে মানুষের জীবনে দৃশ্যমান উন্নয়ন আনা। তাঁর তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন বহু সরকারি প্রকল্প আজও মাঠপর্যায়ে দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত।
খালেকুজ্জামান চৌধুরী অস্ট্রেলিয়া থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বিদেশে অবস্থানকালে প্রকৌশল ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে অর্জিত জ্ঞান দেশে ফিরে নিখুঁতভাবে কাজে লাগিয়েছেন। সরকারি আমলাতন্ত্রের সীমাবদ্ধতার মধ্যেও তিনি সর্বদা চেষ্টা করেছেন জনগণের অর্থ দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহারের নিশ্চয়তা দিতে।
সহকর্মী ও কর্মকর্তাদের কাছে তিনি “নির্ভরতার নাম” হিসেবে পরিচিত। তাঁর অফিসে কাজ হয় পরামর্শ, যুক্তি এবং পেশাদার আলোচনার মাধ্যমে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে থাকে স্বচ্ছতা, বাস্তবতা এবং মানবিকতার সমন্বয়। একজন সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী বলেন, “স্যার শুধু কাজ শেখান না, কাজের নৈতিকতাও শেখান। তাঁর মতো প্রকৌশলী থাকায় আজও গণপূর্তের সুনাম অটুট রয়েছে।”
বর্তমান সময়ে গণপূর্ত অধিদপ্তর একটি সংকটময় সময় অতিক্রম করছে। এই পরিস্থিতিতে অভিজ্ঞ, সৎ এবং দূরদর্শী নেতৃত্বের চাহিদা রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে খালেকুজ্জামান চৌধুরী নতুন আশার প্রতীক হিসেবে উঠে এসেছেন। তাঁর নেতৃত্বে গণপূর্ত অধিদপ্তর হবে আরও স্বচ্ছ, আধুনিক এবং মানবিক। প্রতিটি প্রকল্পের কেন্দ্রে থাকবে জনগণের স্বার্থ। উন্নয়ন হবে দেখানোর জন্য নয়, অনুভব করার জন্য।
একটি সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে খালেকুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “যদি আমাকে প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব দেওয়া হয়, আমি গণপূর্ত অধিদপ্তরকে রাজনীতিমুক্ত, দক্ষ ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে চাই। প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে সময়নিষ্ঠ, ব্যয় হবে যৌক্তিক এবং জনগণ প্রকৃতভাবে উপকৃত হবে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলীরা দেশের সবচেয়ে পরিশ্রমী ও মেধাবী। আমি বিশ্বাস করি, আমরা সবাই মিলে সততা ও দক্ষতার মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।”
খালেকুজ্জামান চৌধুরীর এই নিখুঁত নেতৃত্ব ও দৃঢ় মনোভাব গণপূর্তকে একটি শক্তিশালী, স্বচ্ছ এবং জনগণের কল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সিএনআই/২৫