১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার
৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অধ্যাদেশের ৮০ শতাংশ প্রায় শেষ, আশ্বস্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি স্থগিত!

শেয়ার করুন

মোঃ ইব্রাহীম মাহমুদ – কবি নজরুল কলেজ ঢাকা।

রাজধানীর সাত কলেজকে পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর সংক্রান্ত অধ্যাদেশের কাজ প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে এবং বাকি কাজ শেষ করে দ্রুতই অধ্যাদেশ জারি করা হবে বলে শিক্ষার্থীদের জানিয়েছে শিক্ষা উপদেষ্টার দপ্তর। এতে আশ্বস্ত হয়ে আন্দোলন কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সচিবালয় থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী তানজিমুল আবিদ। তিনি ২৩ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।

 

তানজিমুল আবিদ জানান, তারা শিক্ষা উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সচিবের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তাদের নিশ্চিত করা হয়েছে অধ্যাদেশের প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে। তবে অধ্যাদেশের কাজ বর্তমানে দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে, যা সবচেয়ে বেশি সময়সাপেক্ষ।

তিনি বলেন, এখন সব থেকে সময়সাপেক্ষ কাজ হচ্ছে ৬ হাজার ই-মেইল যাচাই। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জমা হওয়া প্রায় ৬ হাজার ই-মেইল যাচাই করতে সময় লাগছে।
শিক্ষার্থীদের উদ্বেগের কারণে এ কাজের জন্য লোকবল দুজন থেকে বাড়িয়ে ৫ জন করা হয়েছে। এর পরবর্তী ধাপ হচ্ছে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা। প্রায় ১২০০ শিক্ষক, দেড় লাখ শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন, বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা না করে সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না। এই আলোচনা শেষ করতে তিন-চার দিনের বেশি সময় লাগবে।

তানজিমুল আবিদ আরো বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষার্থীদের জানানো হয়েছে, এই ‘লং ডিউরেশন ফেজ’ বা দীর্ঘ ধাপটি শেষ হলেই অধ্যাদেশের ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। পরবর্তী ধাপগুলো, যেমন কেবিনেটে উপস্থাপন এবং রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর, খুব কম সময়েই (২ থেকে ৪ দিনের মধ্যে) শেষ করা সম্ভব হবে।

তিনি আরও জানান, চলমান আন্দোলনে তাদের শারীরিক ও মানসিক কষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। তাদের দুজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। একজন শিক্ষার্থীকে শিক্ষকদের দ্বারা মেরে রক্তাক্ত করা হয়েছে এবং তার মাথা ফেটে গেছে।

এ ছাড়া আন্দোলন চলাকালীন দুজন শিক্ষার্থী জ্ঞান হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৬ মার্চ সরকার রাজধানীর ৭টি সরকারি কলেজকে (ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ) পৃথক করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের ঘোষণা দেয়।

শেয়ার করুন