১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার
৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গুম-খুনে জড়িত সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি ছাত্র ইউনিয়নের

শেয়ার করুন

গুম, খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ। সংগঠনটি বলেছে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আইনের ঊর্ধ্বে নয়—ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা মানে দায়িত্বশীলতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতিফলন।

রোববার (১২ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি তামজিদ হায়দার ও সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকার বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সেনা, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও এখনো তা কার্যকর হয়নি। শেখ হাসিনার আমলে সংঘটিত গুম, খুন ও নির্যাতনের বিচারও দৃশ্যমান নয়। এই বিলম্ব জনগণের ন্যায়বিচারের প্রতি আস্থা নষ্ট করছে এবং দায়মুক্তির সংস্কৃতিকে আরও গভীর করছে।”

ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা আরও বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেবল সরকার পরিবর্তনের আন্দোলন ছিল না; এটি ছিল স্বৈরাচার, অন্যায় ও রাষ্ট্রীয় দমননীতির বিরুদ্ধে জনগণের ঐতিহাসিক প্রতিরোধ। কিন্তু সেই অভ্যুত্থানের পরও গুম-খুনে অভিযুক্তদের বিচারে গাফিলতি জনগণের ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থার স্বপ্নকে বিপন্ন করছে।”

বিবৃতিতে জানানো হয়, গুম কমিশনের প্রতিবেদনে ইতিমধ্যে ১ হাজার ৮০০–এর বেশি গুমের অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক কর্মী, নারী, শিশু ও শ্রমজীবী মানুষ রয়েছেন। ছাত্র ইউনিয়নের দাবি, সেনাবাহিনী, র‍্যাব, ডিজিএফআই ও পুলিশের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত “আয়নাঘর”সহ গোপন বন্দিশালাগুলোতে সংঘটিত এসব অপরাধ মানবতার ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে।

তারা আরও অভিযোগ করেন, গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারও রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে জনগণের ন্যায্য আন্দোলন দমন করেছে।

শেয়ার করুন