১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার
৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সামুদ্রিক খাতে রোবটিক্স নিয়ে যৌথভাবে কাজ করবে মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ও ডুবোটেক

শেয়ার করুন

মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ও দেশীয় রোবোটিক্স প্রতিষ্ঠান ডুবোটেক ডিজিটাল লিমিটেড সামুদ্রিক প্রযুক্তি খাতে গবেষণা, উদ্ভাবন ও উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে যৌথভাবে কাজ করার জন্য একটি পার্টনারশিপে যুক্ত হয়েছে। এই সহযোগিতার মাধ্যমে তারা রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকল (ROV), স্বয়ংক্রিয় রোবোটিক সিস্টেম এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সামুদ্রিক প্রযুক্তি উন্নয়নে একসাথে কাজ করবে, যা বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমিকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির কনফারেন্স রুমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অংশীদারিত্বের কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কমান্ডার মোহাম্মদ ইরফান মাহদী, ডুবোটেকের সিইও মোঃ নাঈম হোসেন সৈকত এবং সিওও মোঃ মাহফুজুল হক।

দেশের একমাত্র সরকারি মেরিটাইম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি দীর্ঘদিন ধরে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, গবেষণা ও নীতি সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছে। প্রযুক্তিনির্ভর সামুদ্রিক শিল্প গড়ে তুলতে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন সহযোগিতা কর্মসূচি পরিচালনা করছে।

এই নতুন পার্টনারশিপের লক্ষ্য হলো মেরিটাইম প্রযুক্তি খাতে গবেষণা ও মানবসম্পদ উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নেওয়া। যৌথ উদ্যোগে আন্ডারওয়াটার রোবোটিক্স ও স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি বিষয়ক গবেষণা প্রকল্প পরিচালিত হবে, যেখানে শিক্ষার্থীরা ডুবোটেকের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করবে এবং উদ্ভাবনে সরাসরি ভূমিকা রাখতে পারবে।

ডুবোটেক ডিজিটাল লিমিটেড গত আট বছর ধরে বাংলাদেশের আন্ডারওয়াটার ও সামুদ্রিক রোবোটিক্স খাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি শিল্প, পরিবেশ ও প্রতিরক্ষা খাতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের রোবোটিক সিস্টেম তৈরি করছে, যার লক্ষ্য একটি টেকসই মেরিটাইম টেকনোলজি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা।

ডুবোটেকের সিওও মোঃ মাহফুজুল হক জানান, এই সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাস্তব প্রকল্পে যুক্ত হয়ে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে, যা তাদের ভবিষ্যতে মেরিটাইম প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্ব দিতে সহায়তা করবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উদ্যোগ বাংলাদেশের নীল অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। দেশীয় প্রযুক্তি ও রোবোটিক্স ব্যবহারের ফলে সমুদ্রসম্পদ অনুসন্ধান, তলদেশ পর্যবেক্ষণ এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে। পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান ও শিল্পোন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের সামুদ্রিক অর্থনীতিকে প্রযুক্তিনির্ভর ও টেকসই করে তুলবে।

শেয়ার করুন