
পূজার খাবারের মধ্যে অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসের প্রিয় মহাষ্টমীর ভোগের থালা। ভোগের থালা মানেই খিচুড়ি, লাবড়া আর নানা পদের ভাজা। নকশার পাঠকদের জন্য এমনই কিছু পদ রেঁধে পরিবেশন করলেন এই অভিনেত্রী।
ছোটবেলার পূজার দিনগুলো খুব মনে পড়ে। নতুন জামা পরে ভোরবেলা প্রতিমা দেখতে যাওয়া, মায়ের ভোগের খাবার, সবার সঙ্গে মিলে হইহুল্লোড়—সবকিছু মিলে রঙিন হয়ে উঠত ছোটবেলার পূজা,’ বলছিলেন অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। এবারের ‘নকশা’র পূজাসংখ্যার জন্য তিনি রাঁধলেন পূজার রান্না। ছবি তোলার ফাঁকে ফাঁকে তাঁর সঙ্গে চলছিল কথোপকথন।
রান্না শিখেছেন কার কাছ থেকে? উত্তরে অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস জানালেন, নিরামিষ রান্না তাঁর মায়ের (শেফালি বিশ্বাস) কাছ থেকে শেখা। মায়ের সব রান্নাই তাঁর প্রিয়, তবে বেশি মনে পড়ে মায়ের হাতে মাখা চচ্চড়ি, পাঁচমিশালি সবজি আর আলুর দমের কথা। বললেন, ‘মা এই খাবারগুলো খুব অন্য রকমভাবে রাঁধতেন। আমার সব সময় মনে হতো, মা এটা কীভাবে রান্না করলেন? উপকরণগুলোই–বা কী?’
মায়ের মতো না হলেও অপু নিজেও কম ভালো রাঁধেন না। নকশার জন্য অপু রেঁধেছেন বুটের ডাল, মুগ ডালের খিচুড়ি, লাবড়া, পায়েস আর লুচি।
অপুর রান্নার বিশেষত্ব হলো তেল-মসলার কম ব্যবহার। সেটিও মায়ের কাছ থেকে শেখা। অপু জানালেন, প্রতিটি রান্নার উপাদানের নিজস্ব একটা স্বাদ রয়েছে। আবার প্রতিটি মসলার রয়েছে আলাদা স্বাদ ও ঘ্রাণ।
মসলা বেশি দিলে খাবারের স্বাদ বেড়ে যায়, বিষয়টি এমন নয়; বরং খাবারে মসলার স্বাদ ও ঘ্রাণ চলে আসে। তখন তরকারির নিজস্ব স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।
পূজার খাবারের মধ্যে অপু বিশ্বাসের প্রিয় মহাষ্টমীর ভোগের থালা। ভোগের থালা মানেই খিচুড়ি, লাবড়া আর নানা পদের ভাজা। পূজার পর ওই খাবার তাঁর কাছে অমৃত বলে মনে হয়।
পূজার চার দিনে চার রকম লুকে নিজেকে সাজাতে পছন্দ করেন অপু বিশ্বাস। তবে এবার পূজা নিয়ে সে রকম কোনো পরিকল্পনা নেই। পরিকল্পনা না থাকলেও হুট করে কোনো একদিন ছেলে আব্রামকে নিয়ে ঘুরতে বের হবেন আশপাশের পূজামণ্ডপে।