
বিশ্বজুড়ে ইসলামের বার্তা পৌঁছানোর লক্ষ্যে সৌদি আরব ১২ লাখ কোরআন শরীফ বিতরণের ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এই মহৎ উদ্যোগের অনুমোদন দিয়েছেন, যা মুসলিম বিশ্বের জন্য এক বিশেষ উপহার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
৭৯টি ভাষায় অনুবাদকৃত কোরআন বিতরণ
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অনুদানকৃত কোরআন শরীফগুলো ৭৯টি ভাষায় অনূদিত হবে। এগুলো ইসলামিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ সৌদি আরবের বিভিন্ন বিদেশি দূতাবাসে পাঠানো হবে, যাতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা উপকৃত হতে পারেন।
প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব
সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাতে জানা যায়, এটি প্রিন্স সালমানের ‘কোরআন উপহার কর্মসূচি’র অংশ, যা মুসলিমদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে গৃহীত হয়েছে।
এ বিষয়ে সৌদি আরবের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী আব্দুলতিফ আল-আশেখ ক্রাউন প্রিন্সের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “প্রিন্স সালমান বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের প্রতি তার দায়িত্ব পালন অব্যাহত রেখেছেন।”
তিনি আরও জানান, কোরআন শরীফগুলো বিশ্বের সর্বোচ্চ মানের কাগজে মুদ্রিত হয়েছে, যা নিখুঁতভাবে প্রিন্টিং ও সংরক্ষণের দিক থেকে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে।
রমজানের আগেই বিতরণ সম্পন্ন হবে
প্রথম দফায় ৪৫টি দেশে কোরআন বিতরণের কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রমজান মাসের আগেই কোরআনগুলো বিতরণ করা হবে এবং এটি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।
সৌদি আরবের ভূমিকা ও প্রভাব
এই উদ্যোগ সৌদি আরবের মুসলিম বিশ্বের প্রতি তাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় দায়বদ্ধতার প্রতিফলন। এটি শুধু ধর্মীয় শিক্ষা প্রচারে ভূমিকা রাখবে না, বরং রমজানের পবিত্র মাসে মুসলিমদের ধর্মীয় চর্চায় আরও গভীরতা আনবে।
এ উদ্যোগ বিশ্ব মুসলিমদের মধ্যে সংহতি ও ইসলামের শিক্ষার বিস্তারে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।