১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার
৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিশুদের রোজা রাখতে আগ্রহী করবেন যেভাবে

শেয়ার করুন

প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগ পর্যন্ত ইসলামে রোজা রাখার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে অনেক শিশু ফরজ হওয়ার আগেই রোজা রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করে।

যদি কেউ তার শিশুকে প্রথমবারের মতো রমজানের রোজা রাখতে উদ্বুদ্ধ করতে চান, তাহলে কিছু কৌশল অনুসরণ করলে রোজাকে শিশুর জন্য আনন্দদায়ক ও সহজ করে তোলা সম্ভব।

শিশুকে রোজার মূল শিক্ষা দিন

ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী রোজার গুরুত্ব ও উদ্দেশ্য বোঝান।

রোজা রাখার সওয়াব ও তাৎপর্য সম্পর্কে শিশুদের সহজ ভাষায় বুঝিয়ে বলুন।

রোজার শিষ্টাচার শেখান, যেমন— ভালো আচরণ করা, অভাবগ্রস্তকে সাহায্য করা, অতিরিক্ত কথা বলা বা গালিগালাজ থেকে বিরত থাকা, সময়মতো নামাজ পড়া ইত্যাদি।

সেহরি ও ইফতারের গুরুত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিন।

শিশুর রমজানকে আনন্দময় করুন

সেহরির জন্য রাতের ঘুম ঠিকমতো নিশ্চিত করুন, যাতে শিশুদের ঘুমের ঘাটতি না হয় এবং তারা ক্লাসেও মনোযোগী থাকতে পারে।

সেহরির খাবারে পুষ্টিকর উপাদান রাখুন, যেমন— শক্ত খাবার, তাজা জুস এবং স্বাস্থ্যকর পানীয়, যা শরীরকে সারাদিন হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করবে।

তাড়াহুড়ো না করে শান্তভাবে সেহরি খেতে দিন।

পরিবারের সঙ্গে ইবাদতের পরিবেশ তৈরি করুন, যাতে তারা রমজানের মাহাত্ম্য অনুভব করতে পারে।

দান-সদকা বা দরিদ্রদের সহায়তার কাজে শিশুদের অংশগ্রহণে উৎসাহিত করুন।

সুস্থতার দিকে নজর দিন

অতিরিক্ত কষ্ট হয় এমন কাজ থেকে শিশুদের বিরত রাখুন।

ইফতার খেজুর ও পানি দিয়ে করার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিন।

শিশুদের কখনোই সেহরি না খাইয়ে রোজা রাখতে বাধ্য করবেন না, কারণ এতে তাদের শরীরের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে এবং তারা রোজার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে।

এই উপায়গুলো অনুসরণ করলে শিশুদের জন্য রোজা রাখা সহজ ও উপভোগ্য হয়ে উঠবে, যা ভবিষ্যতে তাদের জন্য একটি ইতিবাচক অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

 

শেয়ার করুন