
কৃষিখাতে ব্যবহারের জন্য ৫০ হাজার টন ডিএপি-ফসফরিক কিনবে সরকার
কৃষিখাতে ব্যবহার ও সার কারখানার জন্য মোট ৫০ হাজার মেট্রিক টন সার ও ফসফরিক এসিড কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার কৃষকদের জন্য এবং ১০ হাজার টন ফসফরিক এসিড সার কারখানার জন্য কেনা হবে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়।
ডিএপি সার আমদানি:
সৌদি আরব থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানি করবে সরকার। আগের চুক্তির কার্যক্রম শেষ হওয়ায়, বিদ্যমান শর্ত অপরিবর্তিত রেখে নতুন চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে।
ডিএপি সার আমদানিতে মোট ব্যয়: ২৯৯ কোটি ৮৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা
প্রতি টন ডিএপি সারের দাম: ৬১৪.৫০ ডলার
মোট ব্যয় (মার্কিন ডলারে): ২ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার
ফসফরিক এসিড আমদানি:
চট্টগ্রামের টিএসপিসিএল-এর জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে মাত্র একটিই দরপত্র জমা পড়ে, যা কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান: গুয়ানজি পেঙ্গুই ইকো-টেকনোলজি কো. লি.
ফসফরিক এসিড আমদানিতে মোট ব্যয়: ৭৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা
প্রতি টন ফসফরিক এসিডের দাম: ৬৩০ ডলার
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির অনুমোদনের পর এই সার ও ফসফরিক এসিড আমদানি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।